ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশন এবং ডিইউ রাইটার হাবের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো 'লিডারশিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক সিম্পোজিয়াম। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে এই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।
সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি স্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশ-এর দায়িত্বরত ড. বার্নার্ড স্পেনার। সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আ.ন.ম. ফখরুল আমিন ফরহাদ। সঞ্চালনায় ছিলেন মহিউদ্দীন ভূইয়া এবং খাদিজা আক্তার ঊর্মি। স্বাগত বক্তব্য দেন রাইসা নাসের।
আলোচনায় ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেডের সভাপতি মাসুদ খান বলেন, আমাদেরকে পরিচালিত করে আমাদের মন। তাই আমাদের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে আমাদের মনস্তত্ত্ব অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে। তাই মানসিক প্রশিক্ষণ আমাদের জন্য প্রয়োজন। নেতিবাচকতাকে পরাভূত করে ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মানসিক প্রশিক্ষণের সাথে আমাদের শারীরিক প্রশিক্ষণও গুরুত্বপূর্ণ। কর্মক্ষম থাকার জন্য শরীরচর্চার কোন বিকল্প নেই।
এটুআই প্রোগ্রামে সোশ্যাল ইনোভেশনের প্রধান মানিক মাহমুদ বলেন, আমাদের পড়ালেখা ও চাকরিজীবনের দক্ষতায় অনেক বড় একটা বিস্তর ফারাক আছে, যে সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা অবগত নয়। কিন্তু কাজের সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং সমসাময়িক চাকরির বাজারের মধ্যে একটা যোগাযোগ তৈরি করতে হবে।
স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারপারসন মাহবুব রহমান তার বক্তব্যে বলেন, দক্ষতা বিষয়টি আমরা কখনোই এড়িয়ে যেতে পারবো না। অনেক রকম দক্ষতা বা স্কিলের মধ্যে ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেল আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে লাগবেই এবং এটা আমাদের গুরুত্বের সাথেই শেখা উচিত। এর পাশাপাশি আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে।
বার্নার্ড স্পেনার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। এই বিশাল জনসংখ্যার কোয়ালিটি যদি বৃদ্ধি করা যায়, তাহলে অনেক বড় একটা বিপ্লব সাধন হবে। এখনই প্রয়োজন যুবসমাজের ডিজিটাল স্কিল বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ।
সিম্পোজিয়ামের সর্বশেষ বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ক্লাসের লেখাপড়া ক্যারিয়ার গঠনের সামান্যতম অংশ। জীবনে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতার বিকাশ করতে হবে। এর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি ও যোগাযোগ দক্ষতা বিকাশ অন্যতম।
এছাড়া প্যানেল মডারেটর হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমরান হোসেন ভূইয়া এবং সাদিয়া নূর খান। অনুষ্ঠানের ফুড পার্টনার হিসেবে ছিলো কুপার্স।
উল্লেখ্য, একশনিস্ট ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন দরে যুবসমাজের মানসিক স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক বিকাশের জন্য কর্মশালা, আলোচনা সভা ও অনলাইন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।