বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী 

আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:২৯
রাজধানীর বিজয় সরণিতে নবনির্মিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমগ্র শিল্পকর্মটির মধ্যমণি হয়ে দণ্ডায়মান বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি।শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় এ ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন তিনি।
 
‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ স্বাধীনতাকামী জনগণের হৃদস্পন্দন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণা। স্থাপত্যটির সাতটি প্রাচীর আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের আলোকিত ৭টি আন্দোলন তথা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিচ্ছবি।
 
‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গনে’ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
 
এছাড়াও সাতটি প্রাচীর দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে নির্দেশ করে। পাশাপাশি ক্রম ঊর্ধ্বগামী ৭টি প্রাচীর জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নকে নির্দেশ করে।
 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ভাস্কর্য সবসময় আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিবে জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন ‘একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক সোনার বাংলা’র কথা। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন হৃদয়ে ধারণ করে দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি আধুনিক, দক্ষ এবং সময় উপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
 
এ সময় মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণের কাজ অত্যন্ত সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
 
উল্লেখ্য, জাতির পিতার এই ভাস্কর্যটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিজয় দিবস প্যারেডে প্রদর্শিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ভাস্কর্যটির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে ভাস্কর্যটি বিজয় সরণিতে স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, সেনাবাহিনী প্রধানের পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনায় দীর্ঘ ৫ মাসের অক্লান্ত ও নিরলস পরিশ্রমে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি বিজয় সরণিতে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণে’ স্থাপিত হলো। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সমৃদ্ধ ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে এবং নতুন প্রজন্মকে বাঙালির সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করবে।
ইত্তেফাক/এবি