মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

আতঙ্কে দুবলারচরের ১০ সহস্রাধিক জেলে

আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:১৭

ঘূর্ণিঝড় আশঙ্কায় দুবলারচরে ১০ সহস্রাধিক শুঁটকি মাছের জেলেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ভারী বৃষ্টিপাত হলে কোটি টাকার মাছ বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় তারা এখন দিশেহারা। অপরদিকে সাগরে অবস্থানরত জেলেদের দ্রুত নিকটস্থ চরে ফিরে আসার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বলেন, বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় আকাশ ভারী ও মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের অবিলম্বে আলোরকোলসহ তাদের আবাসস্থলে ফিরে আসার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এবার শুঁটকি মৌসুমের শুরুতেই জেলেরা দুর্যোগের কবলে পড়েছেন। আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, নারিকেলবাড়ীয়া ও শেলারচরে জেলেদের ধরে আনা কাঁচা মাছ মাচায় শুকাতে দেওয়া হয়েছে। ভারী বর্ষণ হলে কোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় জেলেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বলে ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মিধিলি’। এটি বাংলাদেশের দিকেই আসছে। তবে এটি খুব বড় মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হবে না বলেই ধারণা করছেন তারা। শুক্রবার এটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সূত্র আরো জানায়, গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

ইত্তেফাক/এসটিএম