‘কাজের সঙ্গে পুরস্কারের খুব একটা সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না। কারণ আমি তো নিয়মিতই কাজ করছি। পুরস্কার পাওয়ার কারণে অনেক কাজ বেড়ে যাবে বা কমে যাবে বিষয়টি তেমনও না। কোয়ালিটি অনুযায়ী আমি যেভাবে কাজ করি সেভাবেই চলবে।’—জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পর কাজের ক্ষেত্রে চোখে পড়ার মতো কোনো পরিবর্তন আসবে কি-না বা দায়বদ্ধতা বেড়ে গেল কি-না—এমন প্রশ্নে কথাগুলো বলেন জনপ্রিয় গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের এবারের আসরে সেরা গীতিকারের পুরস্কার ঘরে তুলেছেন তিনি। ‘পরাণ’ সিনেমার ‘ধীরে ধীরে তোর স্বপ্নে’ গানের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন জীবন। পুরস্কার পাওয়া প্রসঙ্গে জীবন আরও বলেন, ‘প্রায় ২০ বছরের ক্যারিয়ারে প্রতিনিয়তই বিশ্বাস ছিল একদিন এই সম্মাননা পাবো। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রাপ্তির জন্য প্রত্যেকেরই একটা তীব্র প্রত্যাশা থাকে। আমারও সেই আশা ছিল। অবশেষে সেটা সত্যি হলো। তবে এই সম্মাননার পর স্বভাবতই দায়িত্ব অনেক বেড়েছে। এখন চেষ্টা থাকবে আরও অনেক ভালো ভালো গান লেখার।’
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রায় ৮শ’ গান রচনা করেছেন গুণী এই গীতিকার। তার লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের পাশাপাশি ওপার বাংলার অনেক জনপ্রিয় ও প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী। তবে দীর্ঘ এই যাত্রা ততটা মসৃণ ছিল না এই গীতিকারের।
জীবন বলেন, ‘যখন শুরু করেছিলাম তখন তো একেবারেই আনারি ছিলাম। লেখা তেমন ভালো হতো না, পথও সেভাবে চিনতাম না। সেই জায়গা থেকে একটু কঠিন পথই পাড়ি দিতে হয়েছে। তাছাড়া বড় কিছু পেতে হলে কঠিন পথ পাড়ি দিয়েই সবাইকে যেতে হয়, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। সহজে তো ভালো কিছু পাওয়া যায় না, আবার পেলেও সেটাতে আনন্দ থাকে না।’ এদিকে বরাবরের মতোই নিজের নতুন কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন জীবন। এই মুহূর্তে সিনেমা ও নাটকের বেশ কয়েকটি গানের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন বলে জানান তিনি।