বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:১৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছে একই ইন্সটিটিউটের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষকের নাম অধ্যাপক নূরুল ইসলাম। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এই অধ্যাপক সব বর্ষেই এক দুইজন নারী শিক্ষার্থীকে টার্গেট করেন। তবে পরীক্ষায় ফেইল করে দেওয়ার শঙ্কায় কেউ অভিযোগ করার সাহস পায় না। 

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মানববন্ধন করে ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে ইন্সটিটিউট  শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের সুষ্ঠু তদন্ত ও  বিচারের দাবিতে উপাচার্যের কাছে একটি লিখিত আবেদন জমা দেন। 

এর আগে গত ২৮ তারিখ ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালের নিকট লিখিত অভিযোগ জমা দেন। লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, ‘গত ১১ সেপ্টেম্বর আবাসিক হলের বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য ইনস্টিটিউটের অফিস কক্ষে অন্য একজন শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেই শিক্ষক সেখানে না থাকায় আমি অফিস কক্ষের বাইরে দাঁড়াই।

তিনি আমাকে দেখে এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ  জানতে চাইলে আমি সমস্যার কথা জানাই। এরপর  তিনি আমাকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে প্রয়োজনীয় দুই একটা কথা বলার পরপরই অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে শুরু করেন। আমাকে বলতে থাকেন আমি যেন একা তার সঙ্গে দেখা করি এবং বই নেই তার কাছে গিয়ে। তিনি জোর করেই আমার সেল ফোন নাম্বার নেন। তার কথার ধরণ এবং অঙ্গভঙ্গি আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হলে আমি উঠে দাঁড়াই। তখন তিনি নিজেও তার নিজ আসন ছেড়ে আমার কাছে উঠে আসেন এবং আমাকে যৌন হয়রানি করেন। তিনি আমার শরীরের আপত্তিকর স্থানে স্পর্শ করেন। আমি ভয়ে তার কক্ষ থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাই।’

ছাত্রী জানান, ঘটনার সময় সিনিয়র কিছু শিক্ষার্থী তাকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে দেখেন। এরপর তিনি ভয়ে আর মেসে ফিরে যাননি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক ও ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. মো. গোলাম আযমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। জানা যায়, একটি  সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে উনারা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালকে ফোন করলে তিনি খুদে বার্তা পাঠিয়ে ব্যস্ততার কথা জানান। 

ইত্তেফাক/পিও