জাতীয় পার্টি-জেপি’র চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, যেসব দল ভোটে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন বর্জন করে ভিন্ন পথ খুঁজছেন তারা গণতন্ত্রের পক্ষে না বিপক্ষে তা বোধগম্য নয়। নির্বাচনে না এলে তাদের জনপ্রিয়তা কতটুকু আছে তা অনুধাবন করার সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত থাকেন। নির্বাচন হচ্ছে মানুষের কাছে রাজনৈতিক দলের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের একমাত্র উপায়।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সরকারি কেজিইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মানুষের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ আশা করে তাদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়ন সাধিত হবে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। এই নির্বাচনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ আশা করে এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি নির্বাচিত নতুন সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের নেতা নির্বাচিত করার সুযোগ পান। কিছু দল চায় না দেশে এই নির্বাচন হোক, দেশে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক, তারা অতীতেও বিভিন্ন সময় নির্বাচন বয়কট করেছে। যাতে কিনা নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের মানুষ তাদের অধিকার অর্জন করতে পারে নাই। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক আমরা যেমন চাই তেমনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীও চান, পৃথিবীর মানুষও চায়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পেয়েছি বলে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে দেশের মানুষের অধিকার অর্জন হয়েছে। নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হয় সরকার পাঁচ বছরে মানুষের জন্য কী করেছে, মানুষ কী পেয়েছে তারও পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া যায়। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়েই দেশের মানুষের অধিকার প্রাপ্তির প্রমাণ পাওয়া যায়। দেশের সকল শিক্ষিত মানুষই এ বিষয়টি বোঝেন। যারা নির্বাচন চান না তারা কতটা গণতন্ত্রের পক্ষে রয়েছেন তা আজ প্রশ্নসাপেক্ষ।
জেপি চেয়ারম্যান বলেন, দেশ পরিচালনা ও সরকার পরিচালনা শিক্ষিত লোকের কাজ। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশের মানুষের কথা বলবেন। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা বলবেন। কিন্তু এমন সব অর্ধশিক্ষিত-অশিক্ষিত মানুষ ভোটের প্রার্থী হয় যারা কোনো কারণে নির্বাচিত হয়ে গেলে দুর্নীতি, প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, মাদক ব্যবসা ইত্যাদি অপরাধ এলাকায় বৃদ্ধি পাবে। কাউখালী-ভান্ডারিয়া-স্বরূপকাঠির মত এলাকা মাদকের রাজধানী হয়ে যাবে। এদের কেউ কেউ জেলা পরিষদ-ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ লুটপাট করেছে। আমি ৩৯ বছর ধরে এসব লুটপাট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। আমি যখন থাকব না তখন এ এলাকা লুটেরা-সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। সেই আশঙ্কা থেকে আমি এলাকাবাসীর কাছে আহ্বান জানাবো আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করে সংসদে পাঠাতে হবে। আগামী ১৮ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠন করা হবে। আবারও শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। নৌকা জয়ী হলে মানুষের মধ্যে শান্তি বিরাজ করবে, এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আজ নির্বাচনের বিরুদ্ধে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নৌকা মার্কায় শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীদের ভোটে বিজয়ী করে সরকারে পাঠিয়ে দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি-জেপি’র উদ্যোগে আয়োজিত এই নির্বাচনী সভায় কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আব্দুস সহিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার মো. দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুনীল চন্দ্র কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদী রেবেকা শাহীন চৈতী, ঢাকা মহানগর (দ) আওয়ামী লীগের সমবায় ও কৃষি সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুর রহমান সগীর জোমাদ্দার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহরিয়ার কবির অপুর্ব, উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ নিয়াজ আহম্মেদ, উপজেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক মোস্তফা কামাল রোমান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান টুটুল, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ অলোক কর্মকার, সদস্য সচিব নাসির তালুকদার, পার সাতুরিয়া-চিড়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব উদ্দিন পাভেল, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম খান, জেপি নেতা খান মো. বাচ্চু, সমাজসেবী আব্দুল লতিফ খসরু, উপজেলা জেপি নেতা নেপাল চন্দ্র দে, মঞ্জু সেনার আহবায়ক রাজু আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সরদার আজমল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু তালুকদার প্রমুখ।
এ নির্বাচনী সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী মাসুদ ইকবাল, সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামসুদ্দোহা চাঁদ, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম শাহজাহান, জাতীয় পার্টি-জেপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির তালুকদার রাজু, নেছারাবাদ জেপি’র আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম সাইদ, কাউখালী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. নূরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল মাহাফুজ পায়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হাসান জুয়েল, জেপি’র সহ সভাপতি বজলুর রহমান নান্নু, সহসভাপতি মো. জাহিদ সিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী রফিকুল ইসলাম মিরন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহাফুজুর রহমান শাওন, যুবলীগ যুবলীগের কাউখালী ইউনিয়ন সভাপতি সাদ্দাম কাজী, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল হোসাইন, উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি নুরুজ্জামান মনু, সাধারণ সম্পাদক শেখ তারিকুল ইসলাম কাইয়ুম, ছাত্র সমাজের সভাপতি শামিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব সমাদ্দার, মহিলা পার্টির সভানেত্রী অধ্যক্ষ আফরোজা আক্তার, সাধারন সম্পাদিকা সীমা আক্তার প্রমুখ।
এ সময় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সফর সঙ্গী ছিলেন জাতীয় পার্টি- জেপি’র কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহিবুল হোসেন মাহিম, জাতীয় পার্টি-জেপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এডভোকেট এনামুল হক রুবেল, জেপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির রাজু, জাতীয় পার্টি- জেপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ বৈরাগী, ভান্ডারিয়া উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল কালাম হাওলাদার, ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী রোকনুজ্জামান বশির, ভান্ডারিয়া উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি হুমায়ূন কবির দুলাল, ভান্ডারিয়া উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ শফিক মান্নান, খায়রুল ইসলাম কাইয়ুম জমাদ্দার প্রমুখ।