কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় মিলন হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে হত্যার পর ৯ টুকরো করা হয়েছে। শনিবার (৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার হরিপুর চর থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহির মাদি এলাকার মাওলা বক্সের ছেলে। তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি আউট সোর্সিংয়ের কাজ করতেন। গত ১০ মাস আগে তিনি বিয়ে করেছেন। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ঈদগাহের পাশে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
মিলনের স্ত্রী মিমি খাতুন বলেন, হাউজিং এলাকার সজল মিলনকে কল করে ডাকে। তার সঙ্গে দেখা করে বসায় এসে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবার বের হয়ে যায়। পরে সে নিখোঁজ ছিল। ওই দিনই কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করি। পরেরদিন দুপুর পর্যন্ত আমার স্বামীর মোবাইল নম্বর খোলা ছিল। কিন্তু পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি, গুরুত্ব দিলে আমার স্বামীকে জীবিত উদ্ধার করতে পারতো। আজ সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার দায়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ স্বাক্ষরিত পত্রে ২০২২ সালে সজিবকে বহিস্কার করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রাথমিকভাবে চাঁদা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের তথ্য-উপাত্ত মিললেও ঘটনার পেছনে অন্য কোন ক্লু কিংবা আরো কেউ হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এছাড়া পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বড় যাঁতি, লোহাকাটা ব্লেডসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য টুকরো টুকরো লাশ কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, টুকরো টুকরো করা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পশাল কান্তি নাথ জানান, ঘটনাটি পৈশাচিক ও খুবই দুঃখজনক। তবে তড়িৎ পদক্ষেপের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে সজিত আসামিসহ ঘটনার প্রাথমিক ক্লু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তদন্তে আরও কেউ জড়িত প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।