বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

আমি কৃষকের সন্তান, গোলা ভরা ধান আমাকে ফিরিয়ে দিন: এমপি রশিদুজ্জামান  

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৩

খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান বলেছেন, আমি একজন কৃষক, আমি কৃষকের সন্তান, আমি জন্মসূত্রে কৃষক, আমার গোয়াল ভরা গরু গোলা ভরা ধান পুকুর ভরা মাছ ছিল, আজ আমার কিছুই নেই। আমি নেত্রীকে বলেছি আমার পুরনো ঐতিহ্য আমাকে ফিরিয়ে দিন। লবণ পানি আমাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে আমি পূর্বের ঐতিহ্য ফিরে পেতে চাই।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

তিনি বলেন, যা আমার আজন্মের স্বপ্ন, যা আমার মনের মধ্যে আছে, যার জন্য আমি অগণিত বার জেল খেটেছি, অগণিত বার পুলিশের নির্যাতন সয়েছি, শুধুমাত্র লবণ পানি মুক্ত করতে। প্রথম সংসদ অধিবেশনের বক্তব্যে আমি নেত্রীকে বলেছি, আমার এলাকা লবণ পানি মুক্ত করতে হবে, আমাকে আইন করে দিন। নেত্রী আমাকে কথা দিয়েছেন। আপনারা ধৈর্য ধরুন, সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে হবে। কয়রা-পাইকগাছাকে লবণ পানি মুক্ত করে সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা মাঠে প্রকৃত চাষিদের ফিরিয়ে আনতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নবনির্বাচিত এ সংসদ সদস্য। 

বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার কৃষক-শ্রমিক খেটে খাওয়া মানুষের ট্যাক্সের পয়সায় আপনাদের বেতন হয় তাদেরকে সম্মান করে কথা বলুন, প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন।

কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মাঠে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর আগে এমপি কয়রা পাইকগাছা সীমানায় পৌছালে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মিছিল সহকারে তাকে বরণ করেন। পরে মোটরসাইলকেল শোভাযাত্রায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উপজেলা চত্বরে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহিদদের স্মৃতির স্বরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন। 

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিশীত রঞ্জন মিস্ত্রির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ীমী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী কেরামত আলী। উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খয়রুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা রফিকুল ইসলাম, কয়রা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, পাইকগাছা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, ডা. খান আহম্মেদ হেলালী, ভাইস চেয়ারম্যান কমলেশ কুমার সানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আলম, কয়রা থানার ওসি (তদন্ত) টিপু সুলতান, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাস্টার কফিল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, আইনজীবী মোশাররফ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, জেলা শ্রমিক লীগের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিউলি বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানী, আব্দুস সামাদ গাজী, আছের আলী মোড়ল, শাহ নেওয়াজ শিকারী, আওয়ামী লীগ নেতা মনসুর আলী গাজী, কবি শামছুর রহমান, এসএম জিয়াদ আলী, সমরেশ মজুমদার, খয়রুল মাস্টার, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নিলীমা চক্রবর্তী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমদাদুল হক টিটু, মেজবাহ উদ্দিন মাছুম, আলামিন ইসলাম খোকন, ইখতিয়ার উদ্দিন হিরো, পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ প্রতীম চক্রবর্তীসহ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ইত্তেফাক/পিও