ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সার্ভার দুর্বলতায় দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রী পারাপারে ধীরগতি। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই দেশের যাত্রীরা। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই এ সমস্যা দেখা দেয়।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ বলেন,‘সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ রয়েছে। হঠাৎ যাত্রী চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সার্ভার ধীরগতি হয়ে পড়ে। আমাদের সফটওয়্যার টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ইমিগ্রেশনে যে সার্ভার রয়েছে, সেটির ধারণক্ষমতা কম থাকায় যাত্রীদের চাপে ইমিগ্রেশন শেষ হতে সময় লাগছে।’
ইমিগ্রেশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে তিনটি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি ডেস্কে বহির্গমন এবং একটিতে আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। গতকাল বুধবার সকাল থেকে যাত্রী চাপ বেড়েছে। এতে করে সার্ভার দুর্বল হয়ে যায়। যে কাজ করতে এক-দুই মিনিট লাগত, সেখানে একই কাজ করতে সময় লাগছে ১৫-২০ মিনিট। এ সময় ভারত-বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় বসার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় রোগী, শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া সিলেট মৌলভীবাজারের মো. মহসিন আলী বলেন, ‘আমার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছি, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কাজ হচ্ছে কচ্ছপ গতিতে। আমার মা তো বৃদ্ধ। তার ওপর অসুস্থ। এখানে বসার কোনো পরিবেশ না থাকায় বৃদ্ধ মাকে নিয়ে কষ্ট করতে হচ্ছে।’
সিলেটের ঈষিতা দেব রায় জানান, ‘পরিবার নিয়ে ভারতে ঘুরতে যাচ্ছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় ইমিগ্রেশনে এসে সার্ভার ধীরগতির কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন।