মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

উন্নত প্রশিক্ষণ চাইলেন মাহফুজ-জহিররা

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৬

তেহেরান থেকে ঢাকায়। আগের রাতে ঢাকায় এসে গতকাল দুপুরেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হাজির। ইরানে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসে পদক জয় করে সোজা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে। সংবাদ মাধ্যমকে আগেই জানিয়ে রাখা হয়েছিল। এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসে দুই অ্যাথলেট, জহির রায়হান ৪০০ মিটারে রুপা এবং হাই জাম্পে মাহফুজুর রহমান ব্রোঞ্জ জয় করেন। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন থেকে তাদেরকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আনা হয়। ফুলের মালা পরিয়ে দেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু। মিষ্টমুখ করার সবাইকে। 

এ ধরনের আয়োজন দেখা যায় না অ্যাথলেটিকসে। এটি তাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা, প্রথম বার এ মিটে গিয়ে পদক জয় করেছেন, তাই রোমাঞ্চটা বেশি। এশিয়ান লেভেলে গিয়ে পদক আনছেন যারা তারা সাফ গেমসে গিয়ে পদক আনতে পারছেন না কেন। এশিয়ান লেভেলে চীন, জাপানের মতো শক্তিশালী ক্রীড়াবিদরা লড়াই করে সেটি খাটো করে দেখার সুযোগ নেই বলে জহির রায়হান এবং মাহফুজুর রহমানের কথা। একই সুরে দুজনেই বললেন, ‘ভালো সুযোগ সুবিধা পেলে অর্থাৎ ভালো অনুশীলন করতে পারলে এস এ গেমসেও পদক জয় করা সম্ভব।’ 

তেহরানে যেখানে খেলা হয়েছে সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা অভ্যস্ত ছিলেন না। মাহফুজ জানালেন ঠাণ্ডা যেন মাইনাস ছুঁই ছুঁই।’ জহির বললেন, ‘৩ ডিগ্রিতে নেমে ছিল ঠাণ্ডা। এর মধ্যে দৌড়ানোটা কঠিন, ইনডোরের ট্র্যাক এখানকার (বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) মতো না। ২০০ মিটারের ট্র্যাকে দৌড়াতে হয়। বাঁক খাওয়ানো ট্র্যাক। আমরা এই প্রথম বার ইনডোরে খেলেছি। নতুন অভিজ্ঞতা।’

এই অ্যাথলেট স্বপ্ন দেখছেন আগামীতে এসএ গেমেস পদক জয় করবেন। কিন্তু তার আগে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে চান তারা। খেলোয়াড়দের মধ্যে আফসোস আছে, একদিনই ওদের নিয়ে যত আলোচনা। এর পর আর কেউ খবরও রাখবে। ২০১৭ সালে বিশ্ব জুনিয়র অ্যাথলেটিকসের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন জহির রায়হান। সেটা এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসের চেয়ে বড় আসর।

সেমিফাইনালে ওঠার পরও তার প্রতি যত্ন না নেওয়ার আক্ষেপ এখনও মন কাঁদায় জহিরকে। বলছিলেন, ‘এই দায় কার ? আমার নাকি আপনার? তখন যদি আমাকে বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো তাহলে আমিও ইমরান (ইমরানুর রহমান) ভাইয়ের মতো ভালো করতে পারতাম।’ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মন্টু জানিয়েছেন তিনি সভাপতির সঙ্গে কথা বলবেন।’ ইরানে যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আশা ছিল সেই ইমরানুর রহমান ব্যর্থ হয়েছেন এবার, ৬০ মিটারে কাজাখাস্তানে স্বর্ণ জেতা ইমরানুর এবার চতুর্থ হয়েছেন। 

ইত্তেফাক/জেডএইচ