ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বছরের এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রিফাত (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত রিফাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা তিতাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা রিক্সাচালক ও মা গৃহপরিচারিকা। তারা তিতাস পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। রিফাত তাদের প্রতিবেশী। বৃহস্পতিবার বিকালে গণশিক্ষা কার্যক্রমে পড়াশুনা করে বাসায় ফিরে ওই শিশু। তখন তার বাবা-মা বাসায় না থাকার সুযোগে সন্ধ্যায় প্রতিবেশী রিফাত ওই শিশুটিতে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
পরে নিজ বাড়িতে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। মা বাসায় এলে শিশুটি পেটব্যথার কথা জানায়। কিন্তু কেন ব্যথা এ বিষয়ে সে কিছু বলেনি। এ অবস্থায় শিশুটির মা তাকে মারধরও করে। ব্যথা বন্ধ না হলে শিশুটিকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে শিশুটি মাকে ঘটনা খুলে বলে। শুক্রবার সকালে শিশুটির গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়। পরে দুপুরে শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ও শুক্রবার বিকালে মেড্ডা এলাকা থেকে রিফাতকে গ্রেপ্তার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই মো. আইয়ুব আলী বলেন, অভিযুক্তকে রিফাতকে গ্রেপ্তার করেছি। শিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।