আগামী বছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে একুশে বইমেলার আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ‘সোনার বাংলা সাংস্কৃতিক অঞ্চল’ গড়ে তোলার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠ অধিগ্রহণের সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ বলেন, প্রাথমিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নিশ্চিত যে, ২০২৫ সালের বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করা যাবে না। তাই মেলার জন্য বিকল্প ভেন্যু খুঁজছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে গুঞ্জন রটেছে, বইমেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে পূর্বাচলে নিয়ে যাওয়া হবে। বইমেলার মাঠে আর চায়ের আড্ডায় সে আলাপ নানা রকম ডালপালা মেলছে। তবে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা জানান, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় তো এবারও মেলার আগে জায়গাটি বরাদ্দ দিতে আপত্তি করেছিল। পরে বইমেলার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে অনুমতি দিয়েছে। আগামী বছর অনুমতি দেবে না বলছে, পরে হয়ত দিতেও পারে। এটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
তবে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, বইমেলা বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হতে হবে। পূর্বাচলে হলে প্রকাশকদের কেউই অংশগ্রহণ করবে না।
বইমেলার ইতিহাসের শুরু ১৯৭২ সালে, যখন প্রকাশনা সংস্থা মুক্তধারার মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা বাংলা একাডেমির সামনে একটি গাছের নিচে মাদুরের ওপর কিছু বই প্রদর্শনের কাজ শুরু করেন।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্টলগুলোতে আসা বইপ্রেমীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার দায়িত্ব নেয়।