বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

হারলেও প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট কাবরেরা

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৯

সুদানের বিপক্ষে ম্যাচে ৩-০ গোলে হারলেও সুদানী ফুটবলারদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি ফুটবলারদের শারীরিক শক্তি সামর্থ্য খুব বেশি ফারাক নেই। সুদানী ফুটবলারদের শারীরিক উচ্চতা, শক্তিতে ফিলিস্তিনের কাছাকাছি দেখছেন বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। ২১ মার্চ কুয়েতের মাঠে ২০২৬ বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ বাছাই এবং ২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের লড়াইয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে শক্তিশালী সুদানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিজেদের দেখে নিলেন বাংলাদেশের কোচ। কোচ সন্তুষ্ট। তিনি আস্থা পাচ্ছেন। 

সৌদি আরবের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হওয়া ম্যাচ শেষে কোচ কাবরেরা বলেছেন, ‘বিশেষ করে শারীরিক শক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বলি তাহলে বলব সুদান ও ফিলিস্তিন প্রায় কাছাকাছি। সুদানের বিপক্ষে খেলা ম্যাচ দুইটা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দারুণ ভূমিকা রাখবে। বলতে পারি, আমরা এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছি এবং ভালো খেলছি। সৌদি আরবে আসার আগে যে রকম ছিলাম সেই তুলনায় আমাদের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসটাও আগের চেয়ে ভালো। ফিলিস্তিন ম্যাচের জন্য আমরা এখন অনেকটাই প্রস্তুত।’ 

সুদানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ গোল শূন্য ড্র হয়েছিল, দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হারল (৩-০)। ফিফার র‍্যাংকিংয়ে সুদানের অবস্থান ১২৭, বাংলাদেশ ১৮৩ নম্বরে। আর ফিলিস্তিন ৯৫ নম্বরে। প্রায় ১০০ ধাপ ব্যবধান হলেও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে যতটা প্রস্তুতি নেওয়া যায়। জামাল, রাকিবদের নিয়ে সেটাই করতে চাইছেন কাবরেরা। রুদ্ধদ্বার ম্যাচ ছিল। প্রচার-প্রচারণায় যাওয়া যাবে না। সুদান সৌদি আরবে প্রস্তুতি নিতে গেছে বাংলাদেশের আগেই। তারা অনেক দিন ধরেই সৌদি আরবে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছিল বাফুফে। আর এ কারণেই সুদানকে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে রাজি করাতে পেরেছে। দুই ম্যাচে সবাইকে খেলিয়েছেন কোচ। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আরো ২ গোল হজম করে। 

কাবরেরা বললেন, ‘সুদানের মতো একটি শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আরেকটি কঠিন ম্যাচ খেললাম আমরা। শারীরিক শক্তিতে সুদান আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তার পরও দলের সবাই ভালো ফুটবল খেলেছে। লড়াকু ফুটবল খেলছে বলব। আমি মনে করি দুই ম্যাচ থেকে আমাদের প্রাপ্তি আছে। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আমরা কাজে লাগানোর মতো বেশ কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছি।’

ইত্তেফাক/জেডএইচ