সাগরপারের পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি পুনঃব্যবহার (রিসাইক্লনিং) করে খেলনা তৈরির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা সম্ভব বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। একে সাগরপারের মানুষের জন্য বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের একটি হাতিয়ার বলেও উল্লেখ করেন তারা। তারা বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ জরুরী।
আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারে পরিবেশবান্ধব খেলনা প্রস্তুত অনুষ্ঠানে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহীন ইমরান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউএর উপপরিচালক সুব্রত বিশ্বাস। এছাড়া বক্তব্য রাখেন শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাপক ড. এলিসা ক্যাল্পোনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এমওডাব্লিউসিএ, এপিসি প্রজেক্ট ডিরেক্টর লতিফ বলেন, আট মাসে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফ যৌথভাবে পরিবেশবান্ধব খেলনা উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করেছে। সমগ্র বাংলাদেশ থেকে ১৫ হাজারেরও বেশি নারীকে এ কাজে জড়িত করা হয়েছে, যারা একে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এমন উদ্যোগের জন্য এমওব্লিউসিএ ও ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, শিশুদের দক্ষ ও আনন্দিত করতে হস্ত শিল্পের এ উদ্যোগ খুবই সফল অনুষ্ঠান। এর মাধ্যমে শিশুরা তাদের আবেগ ও সৃষ্টিশীলতা প্রকাশ করতে পারছে। সেইসঙ্গে কক্সবাজারে এমন অনুষ্ঠান আবারও আয়োজনে তার সমর্থন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
এলিসা ক্যাল্পোনা বলেন, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী তীর ক্ষয়, বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি এবং বর্ষা ও ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সম্প্রদায়গুলো গৃহ ও কর্মহীন হয়ে পড়ছে। যার ফলে টিকে থাকার উপায় হিসেবে শিশুদের অধিক হারে বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রমের মত ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শিশু অধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণগুলো প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।