শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

কোম্পানীগঞ্জে পর্যটকদের মারধর

এএসপি তসলিমের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত ডিআইজি

আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৮

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পর্যটকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। মারথরের ঘটনা সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকারকে প্রধান করে নোয়াখালী ও ফেনীর দু’জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা রয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে ঘটনাস্থল উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র রেগুলেটর এলাকায় তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, কমিটির অপর দু’সদস্য নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফতাব উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করছেন। তদন্ত কমিটি স্থানীয় লোকজনের সাথে ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে তথ্য নিচ্ছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও অভিযুক্ত ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন, ভিকটিম আলী আজগর সজলও উপস্থিত ছিলেন বলে তদন্ত কমিটির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬.১৫টা) তদন্ত কাজ চলছে বলে সূত্র আরও জানায়। নির্ভরযোগ্য সূত্রটি আরও জানায়, তদন্তকাজ রাত ৯টা পর্যন্তও গড়াতে পারে।

প্রসঙ্গত; ঈদের পরের দিন শুক্রবার আলী আজগর সজল, তার স্ত্রী ফারজাহান আক্তার, দুই সন্তান, ভাই পুলিশ কনস্টেবল ওমর ফারুক ও তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে মুছাপুর ক্লোজারে ঘুরতে আসেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘুরাঘুরি শেষে নিজ এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে ফিরছিলেন। ওই মোটরসাইকেলে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিল। কিছু পথ আসার পর বিপরীত দিক থেকে একটি পুলিশের গাড়ি আসে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সড়কটির দুই পাশে জ্যামের সৃষ্টি হয়। এরইমধ্যে গাড়ি থেকে একজন (সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন) একটি লাঠি নিয়ে নেমে আসেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই লোকজনকে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করেন। এ সময় গালাগালি করতে নিষেধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আজগরকে কলার ধরে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে বেধড়ক এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। আহতরা সবাই নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

অবশ্যই বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি দাবি করে সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন বলেন, সড়কে জ্যাম থাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আমি গাড়ি থেকে নেমে যাই। কাউকে মারেননি বলে দাবি করেন সহকারী পুলিশ সুপার। বিষয়টি তাদের সঙ্গে বসে মীমাংসা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

ইত্তেফাক/পিও