লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সরকারি নির্দেশনা না মেনে দুটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো—রায়পুর প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ ও রায়পুর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ।
প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রায়পুর উপজেলায় আজও তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বন্ধ রাখা হয়নি মাধ্যমিক পর্যায়ের এই দুটি স্কুল এন্ড কলেজ।
সরেজমিনে এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসেই চলছে পাঠদান। দুই প্রতিষ্ঠানের দাবি, খোলা থাকলেও বেশির ভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে কথা হয় অন্তত ২০ জন অভিভাবকের সঙ্গে। তাদের ভাষ্য, সরকারি নির্দেশনার ব্যাপারে বিদ্যালয় থেকে কিছুই জানানো হয়নি তাদের। তাই যথানিয়ম মেনেই সকাল থেকেই দাবদাহের প্রভাবের মধ্যেও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হয়েছেন তারা।
প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের ট্রাস্ট কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজ আমরা কয়েকটি ক্লাস নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বন্ধের নোটিশ দিয়ে দিয়েছি। আগামীকাল থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল বন্ধ থাকবে। এছাড়াও আমাদের এখানে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ও জেনারেটরের ব্যবস্থা আছে। তাই ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।’
রায়পুর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষক বলেন, প্রশাসনিক কিছু কাজের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়নি। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী আসেনি। যেসব শিক্ষার্থী এসেছে, তাদের পাঠদান করা হয়েছে। যেহেতু সব ক্লাসে ফ্যান আছে, তাই সমস্যা হয়নি। তারপরও আগামীকাল থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল বন্ধ থাকবে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম সাইফুল হক বলেন, ‘কোনোভাবেই সরকারি আদেশ অমান্য করার সুযোগ নেই। তারা কেন সরকারি আদেশ অমান্য করেছেন, সেটি জানতে চাওয়া হবে।’