প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ময়মনসিংহে গেছে বসুন্ধরা কিংস। তার আগেই দুপুরে পৌঁছায় মোহামেডান। দুই দল হোটেলে অবস্থান করছে। কিংস ঢাকায় অনুশীলন করে গেছে। আর মোহামেডান ময়মনসিংহে গিয়ে গা গরম করেছে। আজ বিকাল ৪টায় মোহামেডান-বসুন্ধরা কিংস লড়াই। কিংস যদি জয় পায় তাহলে আজই লিগ চ্যাম্পিয়ন।
ময়মনসিংহ থেকেই উত্সবের রং ছড়াতে ছড়াতে ঢাকায় ফিরবে। মূল উৎসব হবে, ট্রফি হাতে নেওয়ার দিনে। লিগের শেষ ম্যাচে বিশাল আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আজ মোহামেডানকে হারাতে না পারলেও আরও ৩ ম্যাচ হাতে থাকবে কিংসের। সেখানেও সুযোগ থাকবে। যদি ম্যাচ না হারে। লিগের সব দলই ধরে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস নিশ্চিতভাবেই লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং তারা টানা পঞ্চম শিরোপা জয়ের উৎসব করতে যাচ্ছে।
মোহামেডানের এসব নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। মোহামেডান খাদের কিনারা থেকে এখন লিগের সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে, তুলনামূলক বিচারে। লিগের ১০ দলের মধ্যে মোহামেডান একমাত্র ফুটবল দল এখনো হারেনি তারা। কিংস একমাত্র দল যারা একটি ম্যাচে হেরেছে এবং মোহামেডান হারিয়েছে। অনেক দিন থেকেই বসুন্ধরা কিংস থেকে এগিয়ে মোহামেডান। দলের কোচ আলফাজ আহমেদ সেটাই বলছেন। কোথায় তারা এগিয়ে। আলফাজ নিজেকে কিংসের চেয়ে শক্তিশালী দল মনে করেন না। তবে মাঠের বিচারে দুই দল যখন লড়াইয়ে নামে তখন প্রতিপক্ষের সঙ্গে পেরে ওঠার কৌশলটাই মাথায় থাকে। কাগজে কলমে কিংস দেশের সেরা দল। বাজেট অনেক বেশি। এই দলের বাজেটের সঙ্গে লিগের আরও ৫ ক্লাবের বাজেট প্রায় সমান। তারপরও কিংস সব ম্যাচ স্বচ্ছন্দে জিততে পারে না।
কিংস শিরোপা জয়ের জন্য দলের ৩১ ফুটবলারকে নিয়ে গেছে ময়মনসিংহে। যেটা অন্য সময় করে না। যারা খেলবে তাদের বাইরে কিছু ফুটবলার থাকেন। কিন্তু এবার তারা ধরেই নিয়েছেন আজ জিতবেন এবং চ্যাম্পিয়ন হবেন। এমন আনন্দঘন মুহূর্তে সব ফুটবলার থাকবেন, সাক্ষী হবেন। কর্মকর্তারাও চলে গেছেন। আরো কিছু শীর্ষ কর্তা আজ রওনা হবেন ময়মনসিংহে। তাদের সবার মধ্যে চ্যাম্পিয়নের উৎসব। চোখে-মুখে আনন্দ। মোহামেডান সেসব নিয়ে ভাবছে না। তারা নিজেদের খেলাটা খেলতে চায় না। লিগ রানার্সআপ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে আলফাজ হেড কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর কিংসের বিপক্ষে ৪ বার ম্যাচ খেলেছে। ২ জয় এবং ২ হার রয়েছে। আলফাজদের মনে কষ্ট উঁকি দিচ্ছে। লিগের খেলা শেষ হওয়ার আগেই খেলোয়াড় দলবদলের আলোচনা উঠে গেছে। বাতাসে নানা কথা ছুটছে। মোহামেডানের ৫ ফুটবলার অন্য ক্লাবে চলে গেছেন। আবাহনী, বসুন্ধরা, শেখ জামালের নাম ঘুরছে মুখে মুখে। এটা যদি সত্য হয়ে থাকে আর যদি আলোচনায় থাকা ফুটবলাররা মাঠে নেমে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা ভুলতে বসেন তাহলে কিছুই করার নেই মোহামেডানের। আলফাজের বিশ্বাস মাঠে নামলে খেলোয়াড়রা সততা দিয়ে খেলেন। চুক্তিবদ্ধ হলেও তারা নিজ ক্লাবের সঙ্গে বেইমানি করবেন না।