শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের হতাশার পাল্লা দিনদিন ভারী হচ্ছে। কোনো উদ্যোগেই বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। গতকাল মঙ্গলবারও ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই মূল্যসূচকের বড় পতনে লেনদেন হয়েছে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই সূচক কমল। সূচকের পাশাপাশি গতকাল লেনদেনও কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে লেনদেনকৃত মোট ৩৯৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৩৪টির, কমেছে ৩৪৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির দর। এতে এই বাজারের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৮৫.৮১ পয়েন্টে নেমে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫.৭৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২৫.৭৬ পয়েন্টে আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৯১.৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বাজারে সূচকের এ বড়পতনে হতাশ হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। গতকাল একটি ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারী আসাদুজ্জামান বলেন, বাজারের আচরণ কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর বাজারে সূচক অনেক কমেছে, অনেক কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। কিন্তু শেয়ার কিনলে পরের দিনই দাম আরো কমে যাচ্ছে। তাহলে বাজার কি ঘুরে দাঁড়াবে না? এদিকে ডিএসইতে গতকাল সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে। এদিন এই বাজারে লেনদেন হয়েছে ৬৬৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা।দেশের প্রধান এই শেয়ার বাজারে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হলো: ই-জেনারেশন, ওরিয়ন ইনফিউশন, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, অ্যাডভেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস, কোহিনূর কেমিক্যাল, বেস্ট হোল্ডিং, এসকে ট্রিমস, গোবাল হেভি কেমিক্যাল, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স।
অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল লেনদেনকৃত মোট ২৫৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ১৯৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দর। এতে এই বাজারের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭০ পয়েন্ট। গতকাল সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১০৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।