নারায়ণগঞ্জ বন্দরের লক্ষ্মখোলা মাদ্রাসা রোড এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত হলেন ট্রাকের হেলপার মো. এরশাদ (৫৫)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মাদ্রাসা রোড এলাকায় বালুর ট্রাক ও সিমেন্টের ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বালুর ট্রাকের হেলপার এরশাদ গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত এরশাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
হোমনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, হোমনায় নছিমন ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত হলো মোটরসাইকেল চালক আকাশ (২০)। গুরুতর আহত হয়েছে মোটরসাইকেলের আরোহী নিহতের দুই বন্ধু। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হোমনা-মুরাদনগর সড়কের ঘারমোড়া ইউনিয়নের ছোট ঘারমোড়া মসজিদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আকাশ উপজেলার মিরশ্বিকারী পূর্বকান্দির গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। আহতরা হলো নিহতের বন্ধু একই গ্রামের রিপন মিয়ার ছেলে সাইফুল (১৯) ও ডালিম মিয়ার ছেলে ফারহান ওরফে শাওন (১৮)। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আকাশ তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঘারমোড়া বাজারে ঘুরতে যায়। আসার পথে ছোট ঘারমোড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির নছিমনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তারা তিন জনই গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিত্সক আকাশকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত দুই জনকে ঢাকায় পাঠান। দুর্ঘটনার পর পুলিশ নছিমনটি আটক করলেও চালক মো. জামান পালিয়ে গেছে। হোমনা থানার ওসি মো. জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।