বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিনত হয়েছে। এর ফলে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে মোংলা বন্দরে জারি করা হয়েছে নিজস্ব এলার্ট নম্বর 'থ্রি'। বন্দরে অবস্থানরত সকল বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজসহ অপারেশনাল কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল শাহীন রহমান শনিবার (২৫ মে) জানান, মোংলা বন্দরের জেটিসহ পশুর চ্যানেলে নোঙ্গর করা বিদেশি ৬টি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধসহ ওই সকল জাহাজকে নিরাপদ নোঙ্গরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের অপারেশনাল সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্দরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক থেকে ঝড় মোকাবেলায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারির ফলে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, ‘এরই মধ্যে ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। ১৩২০জন স্বেচ্ছাসেবক তাদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ উপজেলা ও পৌরসভায় পৃথক দুটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেও জানান ইউএনও নিশাত তামান্না।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, ‘এরই মধ্যে ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। ১৩২০জন স্বেচ্ছাসেবক তাদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ উপজেলা ও পৌরসভায় পৃথক দুটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেও জানান ইউএনও নিশাত তামান্না।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, ‘১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারির পর পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের প্রতিটি ষ্টেশনসহ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও বনরক্ষকীরা নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। করমজল বন্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের বণ্যপ্রাণীও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’