শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

কোরবানির হাটে বেড়েছে পশু আমদানি

বেচাকেনা কম

আপডেট : ০৫ জুন ২০২৪, ০২:৫৩

কোরবানি ঈদের বাকি প্রায় দুই সপ্তাহ। এর মধ্যেই জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির হাটগুলো। বেড়েছে গরু, ছাগলসহ কোরবানি পশুর আমদানি। তবে, বেচাকেনা কম। ক্রেতারা বলছেন, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় চলতি বছর পশুর দাম  বেশি। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের দামের কারণে কিছুটা  বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে কোরবানির পশু।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা জানান, উপজেলার হাটবাজার ও খামারে কোরবানির গরু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। তবে, তুলনামূলক কম। ঈদের শেষ সপ্তাহে পুরোদমে শুরু হবে বেচাকেনা। প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষ্যে উপজেলার ছোটবড় খামারিরা কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন প্রায় সাড়ে ৮ হাজার বিভিন্ন জাতের পশু। যা গত বছরের চেয়ে ২ হাজারের বেশি।

সৈয়দপুরের সবচেয়ে বড় পশু খামার মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট খামার ও ইউসুফ ডেইরি ফার্ম। খামারটির মালিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রোটারিয়ান জামিল আশরাফ মিন্টু বলেন, আমার খামারে কোরবানির জন্য সব দেশি প্রজাতির গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা হাটে হাটে ঘুরে পশু কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, এমন ক্রেতা বেশি আসছেন। খামারে ঘুরে পশু পছন্দ হলেই বুকিং দিয়ে রাখছেন তারা।

সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় বলেন, গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর জন্য খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভিটামিন খাওয়াতেও বলা হচ্ছে। তবে, গরুকে নিষিদ্ধ কোনো রাসায়নিক ও হরমোন ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং তা মনিটরিং করা হচ্ছে।

বাগমারা (রাজশাহী) সংবাদদাতা জানান, ঈদকে সামনে রেখে জমতে শুরু করেছে গরু ছাগলের হাট। সোমবার উপজেলা ভবানীগঞ্জ ও তাহেরপুর হাটে ব্যাপক গরু ছাগলের আমদানি হয়। এসব হাট ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য হাটেও কোরবানির পশু আমদানি শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে উপজেলার ভবানীগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে কোরবানিযোগ্য পশুর ব্যাপক আমদানি হয়েছে। বেচাকেনা হচ্ছে কম। হাটে ছাগল নিয়ে আসা আসাদুল জানান, কোরবানির হাট পরিপূর্ণ জমে ওঠতে আরও সপ্তাহখানেক লাগবে। তখন দূরদূরান্ত থেকে ব্যাপারীরা গরু ছাগল নিয়ে আসবেন। বর্তমান হাটে যে গরু ছাগল আমদানি শুরু হয়েছে তা স্থানীয়ভাবে লালনপালন করা। হাটে আসা ক্রেতা বেলাল হোসেন জানান, ১৫ কেজির মতো মাংস হবে, এমন খাসি ১৩/১৪ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। এ সময় ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিযোগ করেন, হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম জানান, কোনোভাবেই সরকার নির্ধারিত রেটের চেয়ে অতিরিক্ত হারে খাজনা আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রমাণসহ কোনো অভিযোগ পেলে জরিমানাসহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে।

ইত্তেফাক/এমএএম