বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

পশ্চিমারা নিজেদের জনগণকে ধোঁকা দিতে গল্প বানাচ্ছে: পুতিন

আপডেট : ০৬ জুন ২০২৪, ১৩:৫২

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ন্যাটোতে হামলা চালানোর জন্য মস্কো কোনো ধরনের পরিকল্পনা করছে- এমনটা বলে ভয় দেখিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো বৈশ্বিক আধিপত্য বজায় রাখার বোকামি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমারা নিজেদের জনগণকে ধোঁকা দিতে গল্প বানাচ্ছে।

স্থানীয় সময় বুধবার (৫ জুন) সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের সাইডলাইনে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে 'রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে রক্ষার জন্য ন্যাটোর প্রস্তুতি' সম্পর্কে পুতিনকে জিজ্ঞাসা করা হয়।

জবাবে পুতিন সাফ বলে দেন, 'দেখুন, কেউ কেউ কল্পনা করছেন রাশিয়া ন্যাটোতে আক্রমণ করতে চায়। আপনি কী পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছেন? এই ফালতু কথা, কে নিয়ে এলো?'

রুশ প্রেসিডেন্ট পরামর্শ দিয়ে বলেন, এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণা পশ্চিমের জনগণের সঙ্গে প্রতারণার জন্য ছড়ানো হচ্ছে। তারা এসব বলে নিজেদের সশস্ত্র করতে চায় এবং ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানায়।

পুতিন বলেন, পশ্চিমারা নিজেদের 'মহত্ত্বের অবস্থান' ধরে রাখার জন্য এমনটা বলছে। জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইউরোপের অন্যান্য স্থানের জনগণের উদ্দেশ্যে এসব ভীতিকর গল্পের মধ্যে আসলে কিছুই নেই। ইউক্রেনে আমরা শুধু নিজেদের রক্ষা করছি। গল্প বানিয়ে সেগুলোর ভিত্তিতে রাশিয়া সম্পর্কে মতামত গঠন করবেন না।

তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে পুতিন বারবার ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের মূল কারণগুলো তুলে ধরেন। ২০১৪ সালের মার্কিন-সমর্থিত অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ডনবাসে কিয়েভ সরকারের নৃশংসতা এবং ব্যর্থ মিনস্ক শান্তি প্রক্রিয়া, পশ্চিমা নেতারা স্বীকার করেছেন এটি একটি প্রতারণা।

রুশ প্রেসিডেন্ট যুক্তি দেখান, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনীয়দের ভালোবাসে বলেই ইউক্রেনে শত শত কোটি ডলার নগদ অর্থ, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম ঢেলেনি। বরং তারা এটি মনে করেছে যে, এটি আমেরিকার 'মহত্ত্ব ও বৈশ্বিক নেতৃত্বকে' এগিয়ে নিয়ে যাবে।

পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেউই ইউক্রেনের স্বার্থ নিয়ে মাথা ঘামায় না। ইউরোপে 'আগ্রাসন' করার কোনো ইচ্ছা মস্কোর না থাকলেও কিয়েভকে 'স্পর্শকাতর এলাকায়' দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বিবেচনা করবে মস্কো।

ইত্তেফাক/এসকে