আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্য সেবা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা মোট প্রস্তাবিত বাজেটের পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ। গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বাজেট ছিল ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনে উপস্থাপনকালে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণের অব্যাহত অগ্রগতি বজায় রাখার নিমিত্তে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা। সে হিসাবে এ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। আগামী প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে ৩০ হাজার ১২৫ কোটি এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে ১১ হাজার ২৮৩ কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি লাখে ৩৫১ যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ১৩৬ হয়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি হাজারে ৬০, যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ৩৩-এ নেমে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ২০০৭ সালে ছিল ৬৬.৬, যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২.৩ এ উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এক বছর বয়সের নিচের শিশুর পূর্ণ টিকা প্রাপ্তির হার ৭৫ শতাংশ থেকে ৯৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।