ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ক্ষোভ জানিয়েছেন পদ প্রত্যাশী নেতারা। তারা কেন্দ্রীয় নেতা এবং মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়ে ক্ষোভ জানাচ্ছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, শিগগিরই ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা হবে। মহানগরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা কমিটিগুলো চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমোদন নিয়ে এ কমিটি ঘোষণা হবে।
তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের পদপ্রত্যাশী একাধিক নেতা জানান, কমিটিতে কারা থাকছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো না হলেও দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মাধ্যমে সবাই জেনে গেছেন। প্রস্তাবিত তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন নুরুল ইসলাম মোল্লা সুরুজ ও সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন মুহিবুল হাসান। মুহিবুল হাসান বর্তমানে নগর কমিটির সদস্য পদে আছেন।
তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু আমাকে আউট করে থানা কমিটি দেয়া হচ্ছে বলে শুনতে পেয়েছি। কিন্তু যাদেরকে দেওয়া হচ্ছে তারা অযোগ্য। থানা কমিটির সামলানোর সক্ষমতা তাদের নেই। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবাই অবাক হয়েছে। হাসি ঠাট্টা তৈরি হয়েছে এলাকায়।
তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহিবুল হাসানের পেছেনে আছেন তার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান। এই নাজমুলের বিরুদ্ধে জমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একাধিক মামলা রয়েছে। নিজের বদলে টাকা দিয়ে আরেকজনকে জেল খাটতে পাঠিয়ে আলোচিত হয়েছিলেন নাজমুল। বর্তমানে তিনি জালিয়াতির দায়ে জেলে আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুইজনই একই মহল্লায় থাকেন। ফলে তুরাগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আঞ্চলিক সমীকরণ নষ্ট হবে। এর আগে বরাবরই তুরাগ উত্তর ও দক্ষিণ এলাকা বিবেচনায় নিয়ে নেতা নির্বাচিত করা হতো। এবার সে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
পদপ্রত্যাশী একাধিক নেতা জানান, মহানগর উত্তরের একজন প্রভাবশালী নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এক কর্মকর্তার প্রভাবে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে এমন কমিটি প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বুজলুর রহমান বলেন, এসব বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখব। যদি একই ওয়ার্ডের হয় এবং কারো নামে অভিযোগ পাওয়া যায় আমরা যাচাই-বাছাই করে তাদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দিব।