বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১
The Daily Ittefaq

৪ রান না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে নিয়মের পরিবর্তন চাইলেন তামিম 

আপডেট : ১১ জুন ২০২৪, ১৩:০১

ঘটনাটা ঘটেছিল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ১৭তম ওভারে। প্রোটিয়া পেসার ওটনিল বার্টম্যানের বল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্যাডে লেগে চলে যায় বাউন্ডারি লাইনের বাইরে। বার্টম্যানের আবেদনে সাড়া দিয়ে মাহমুদউল্লাহকে আউট দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি।

তবে নিয়ম অনুযায়ী, আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর বল ডেড হয়ে যাওয়ায় লেগ বাই হিসেবে ৪ রান পায়নি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সেই ৪ রানে ম্যাচ হারে টাইগাররা। ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই এর দায় দেখছেন আইসিসির।

ম্যাচের পর ইএসপিএন ক্রিকইনফোর আলোচনাতেও স্থান পেয়েছে বিষয়টি। সেখানে বিষয়টি আলাপ করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার মরনে মরকেল।

শুরুতেই মাঞ্জরেকার বলেন, ‘এটা নিয়ে সমর্থকেরা অনেক কথা বলছেন। আমরাও এটা নিয়ে আলাপ করতে পারি। আম্পায়ার কি সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন না? আম্পায়ার চাইলে বলটা বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন এবং তারপর তার আঙুল তুলতে পারেন বা বলতে পারেন যে আউট হয়নি। এরপর সেটা আপনি রেকর্ড করলেন এবং রিভিউর পর যা হওয়ার তা হবে।’ 

মাঞ্জরেকারের সঙ্গে একমত পোষণ করে তামিম বলেন, ‘আমার মনে হয়, আপনার কাছে যখন সময় আছে, আপনি কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে দেখতে পারেন, বল কোথায় গেল। সেটা কি বাউন্ডারি হলো, নাকি হলো না! এরপর আপনি আপনার সিদ্ধান্ত জানান। যদি ব্যাটার আউট না হয়, আর বল যদি তার থাইপ্যাডে বা অন্য কোথাও লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়, তবে সে ক্ষেত্রে রান দেওয়া উচিত। যদি সে আউট না হয় আর কি। এটাই আমি বিশ্বাস করি।’

এই ৪ রান ম্যাচের ভাগ্য পাল্টে দিতে পারতো মন্তব্য করে সাবেক টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন, ‘এই ৪ রান বাংলাদেশের ভাগ্য বদলে দিতে পারত। এটা হতে পারত। আমি হয়তো সমর্থকদের মতো কথা বলছি। কিন্তু আপনি যদি ভাবেন, এই ৪ রান বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ধারাভাষ্যকক্ষেও সবাইকে এটা নিয়ে কথা বলতে শুনেছি। এটা এমন কিছু, যেখানে আইসিসি গুরুত্বের সঙ্গে মনোযোগ দিতে পারে। কারণ, এটা এমন কিছু নয় যে তাদের বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে।’

ইত্তেফাক/জেডএইচ