বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১
The Daily Ittefaq

পাকিস্তানের সেরা আট নির্ভর করছে ভারতের ওপরে!

আপডেট : ১১ জুন ২০২৪, ১৪:৫৭

এমন কথা শুনে অনেকে অবাক হলেও ব্যাপারটা আসলে এরকমই দাঁড়িয়েছে। দুই হারের পরে পাকিস্তানের সেরা আটে যাওয়ার বিষয়টি এখন অনেকটাই নির্ভর করছে ভারতের ওপরে। গত পরশু ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৬ রানে হেরেছে পাকিস্তান। এরপর অনেকে দলটির বিদায় দেখে ফেলেছেন। তবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনো কাগজে-কলমে টিকে রয়েছে বাবর আজম বাহিনী। 

আজকের ম্যাচে কানাডাকে হারানোর পাশাপাশি আগামী ১৬ জুন আয়ারল্যান্ডকেও হারাতে হবে। দুটি ম্যাচেও বড় ব্যবধানের জয় দরকার বাবরদের। এর বাইরে ভারতের বাকি দুই ম্যাচেই তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। নির্ভর করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপরেও। স্বাগতিকেরা বাকি দুই ম্যাচের কোনোটিতে জিতলে পাকিস্তানের আর সুযোগ থাকবে না।

দুই ম্যাচ শেষে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে ভারত। দলটির পয়েন্ট ৪। সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছিয়ে থেকে দুইয়ে রয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এর পরে ২ পয়েন্ট পাওয়া কানাডা রয়েছে তিনে। কোনো ম্যাচে জয় না পাওয়া পাকিস্তান ৪ নম্বর অবস্থানে রয়েছে। এখান থেকে পরের পর্ব মোটামুটি নিশ্চিত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের। তবে সেজন্য তাদের আরও একটি জয় দরকার। 

এ দুটি দল একটি করে জয় তুলে নিতে পারলে পাকিস্তানের আর কোনো সুযোগ থাকবে না। ভারত তাদের পরের দুটি ম্যাচে জয় তুলে নেবে এমনটা ধারণা করাই যায়। ১২ জুন রাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ১৫ জুন রাতে কানাডার বিপক্ষে মাঠে নামবে রোহিতের দল। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে জয় নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তো রয়েছেই। তার ওপরে খেলা হবে নিউ ইয়র্কের ড্রপ ইন উইকেটে। তাতে আগে থেকে অনুমান করে কিছু বলাটা কঠিন।

ভারতের বিপক্ষে ১২০ বলে ১২০ রান তুলতে পারেনি পাকিস্তান। ৬ রান আগেই থেমেছে বাবরদের ইনিংস। আর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সুপার ওভারে গিয়ে হেরেছে তারা। তাতে এবারের বিশ্বকাপটা প্রত্যাশামতো হলো না। আজকের ম্যাচে কানাডাকে বড় ব্যবধানে হারাতে না পারলে সব হিসেব-নিকাশ বাবরদের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠবে। এজন্য নিজেদের জয়ের পাশাপাশি ভারতের জয় ও যুক্তরাষ্ট্রের হার কামনা করতে হবে তাদের।

‘এ’ গ্রুপের অপর দল আয়ারল্যান্ড এখনো জয়ের দেখা পায়নি। পাকিস্তানের মতো তাদের ভাগ্য ঝুলে আছে অপর দলগুলোর ফলাফলের ওপরে। তার আগে বাকি ম্যাচগুলো থেকে জয় তুলে নিতে হবে। ব্যত্যয় হলে বিদায় নিশ্চিত। সব মিলিয়ে বড় বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের আগে মিলিটারি প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে ইতিবাচক কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল দলটি। 

কিন্তু মাঠের খেলায় তার প্রভাব দেখা যায়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে ফাইনাল খেলেছিলেন বাবররা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা শিরোপা হারিয়েছিলেন। এবার শিরোপার দৌড় দূরের বিষয়, সেরা আট নিয়েই রয়েছে অনিশ্চয়তা। বলা চলে কঠিন বিষয়। তবে ‘আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান’ কত দূর যেতে পারে, সেটি সময়ের ওপরে ছেড়ে দেওয়ার কোনো উপায় নেই।

ইত্তেফাক/জেডএইচ