বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

রয়টার্সের প্রতিবেদন

করোনায় চীনা ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে গোপন প্রচারণা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র!

আপডেট : ১৫ জুন ২০২৪, ১৪:৪০

করোনা মহামারির সময় চীনের টিকার বিরুদ্ধে গোপনে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। করোনা মোকাবিলায় চীনের প্রচেষ্টাকে হেয় করতে এই প্রচারণার আশ্রয় নিয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। এর উদ্দেশ্য ছিল ফিলিপাইনে চীনের প্রভাব ঠেকানো। ২০২০ সালে করোনা মহামারি যখন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছিল তখন যুক্তরাষ্ট্র এই ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন করেছিল। রয়টার্সের খবর।

পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাধিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদেশগুলোর বিরুদ্ধে চীনের নেতিবাচক প্রভাব ঠেকানো।

ওই কর্মকর্তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনা অপতৎপরতার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এই পলিসি গ্রহণ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে ফিলিপাইনের নাগরিকের ছদ্মবেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকশ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে চীনের তৈরি করোনার টিকা সিনোভ্যাকের গুণগত মান নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়। কারণ, ফিলিপাইনে সিনোভ্যাকই সর্বপ্রথম কাজে লাগানো হচ্ছিল।

এক্সে (সাবেক টুইটার) অন্তত ৩০০টি অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে রয়টার্স, যেগুলোর মাধ্যমে চীনবিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছিল। চীনের ব্যাপারে মানুষের মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেওয়াই এই প্রচারের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। এসব অ্যাকাউন্টের অধিকাংশই ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে খোলা হয়। 

প্রচারণার একটি স্লোগানই ছিল ‘#চায়নাঅ্যাংগভাইরাস’, যার অর্থ দাঁড়ায় চীনই ভাইরাস। তাছাড়া পোস্টে প্রচার করা হয়েছিল, ‘কোভিড এসেছে চীন থেকে, টিকাও এসেছে চীন থেকে। তাই চীনকে বিশ্বাস করা যায় না।’ আরেকটি প্রচার এমন ছিল, ‘চীনের পিপিই, মাস্ক ও টিকা ভুয়া, কিন্তু করোনাভাইরাস সত্যি।’

রয়টার্স এক্সের কাছে এসব অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে জানতে চাইলে পোস্টগুলো মুছে ফেলা হয়। রয়টার্সের দাবি, এতেই প্রমাণিত হয়, এই ভুয়া প্রচারণার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির যোগসাজশ রয়েছে।

ইত্তেফাক/এনএন