খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর প্রেরিত পদত্যাগপত্রে তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করেন। এর আগে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পদত্যাগের আগে উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমার পক্ষে আর থাকা সম্ভব না। গতকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় যে লেখালেখি শুরু হয়েছে, আমার সম্মানহানি হচ্ছে, আমি সম্মানহানি আর নিতে পারছি না। সবকিছুর আগে আমার সম্মান, আমাকে শান্তিতে থাকতে দাও। আমি চাই না, তোমরা আর কোনও ধরনের কিছু করো। তোমরা সবাই ক্লাসে ফিরে যাও।’
এদিকে, একই সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। এছাড়া পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি হলের প্রভোস্ট, সিন্ডিকেটের দুইজন সদস্য, শারীরিক শিক্ষা চর্চা বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালকবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক। বিদায়ী রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এসব পদত্যাগের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৫ মে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করেন প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, অবরুদ্ধ রাখা, কার্যালয়ে তালাবন্ধ করে রাখার মতো ঘটনা ঘটলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ব্যতিক্রম। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ চাননি। সোমবার শিক্ষার্থীরা উপাচার্য যেন পদত্যাগ না করেন সেই দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন।