দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া হাউস ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্সে সংঘটিত হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সোয়া ২টার দিকে, শতাধিক মানুষের একটি মিছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। হামলার সময় অফিসের টেবিল, কম্পিউটার, এসি ভাঙচুর করা হয় এবং মিডিয়া প্রাঙ্গণে রাখা ২০ থেকে ২৫টি গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে হামলার দৃশ্য ধরা পড়েছে। ওই ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলাকারীদের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে হামলাকারীদের কেউ শিক্ষার্থী মনে হয়নি। তাহলে, এরা আসলে কারা?
ঘটনার পরপরই, শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান যে, গণমাধ্যমের ওপর যে হামলা হচ্ছে তাতে শিক্ষার্থীদের কোনো ভূমিকা নেই। তারা বলেন, এসব হামলা কিছু দুষ্কৃতকারী নিজেদের স্বার্থে করে থাকেন। গণমাধ্যমের ওপর হামলা প্রতিহত করতে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত।
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সমন্বয়ক তরী বলেন, যারা হামলা করেছে তারা শিক্ষার্থী নয়। আমরা সবাই আন্দোলন করেছি, কিন্তু দেশের ক্ষতি আমরা কখনো চাই না। গণমাধ্যম আমাদের রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ, এবং এর ওপর হামলার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সমন্বয়ক হাসিবুল হোসেন শান্ত মন্তব্য করেন, যারা হামলা ও তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা দুর্বৃত্ত। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বাংলাদেশে এরা স্বৈরাচারের দোসর। আমরা দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করব। আমাদের বার্তা স্পষ্ট: নতুন বাংলাদেশে কোনো দুষ্কৃতকারীর স্থান নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান, কোথাও যদি দুষ্কৃতকারী দেখেন তবে তাদের ধরে আইনের হাতে তুলে দিন।