এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শোবিজে আলোচনার কেন্দ্রে ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ে প্রসঙ্গ। বিভিন্ন সূত্রে তার বিয়ের খবর সামনে আসলেও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছিলেন আফ্রিদি। অবশেষে নিজের বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন আলোচিত এই ইউটিউবার।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেন আফ্রিদি। তবে কবে, কখন বিয়ে সেরেছেন, তা নিয়ে কিছু জানাননি।
সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি জানালেন, পারিবারিক আয়োজনেই তার কাবিন সম্পন্ন হয়েছে। দুই পরিবারের সদস্যরাই কাবিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল।
আফ্রিদির কথায়, ‘আমি গাড়িতেই বসে শুনলাম, গোপনে বিয়ে করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি! আরে, বিয়ে তো গোপনে করিনি। আমি বিয়ের ছবি আপলোড দেওয়ার আগে আপলোড হয়ে গেছে।’
আফ্রিদি বলেন, ‘ভেবেছিলাম বাসায় যাব। এরপর সবাইকে বিয়ে খবর জানাব। কিন্তু সে সময় আর পেলাম কই, অনেকেই ছবি পোস্ট করেছে। আসলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে- এটা সম্পূর্ণ মহান আল্লাহ তায়ালাই লিখে রাখেন।’
কনে দেখতে গিয়ে কাবিন হয়ে গেছে জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আমি আমার মাকে নিয়ে কনে দেখতে গিয়েছিলাম, পরিবারকে নিয়ে দেখতে গেছি, ওখানেই কাবিন হয়ে গেছে। কার, কখন, কোথায়, কীভাবে বিয়ে হবে, এখানে কারও হাত নেই।’
তৌহিদ আফ্রিদির স্ত্রীর নাম রামিসা আল রিসা, তার যমজ বোন রাইসা আল রোজা। শুরুতে খবর ছড়ায়, রাইসাকে বিয়ে করেছেন আফ্রিদি। এ প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, মানুষ আসলে কনফিউজড হয়ে গেছে, তারা তো যমজ বোন। যমজ বোন হওয়ার কারণে আমার শালিকে (শ্যালিকা) অনেকে আমার ওয়াইফ বলা শুরু করেছে। এসব এক দিক থেকে হাস্যকর লাগে।’
কাবিন এখন হলেও শিগগিরই সবাইকে নিয়ে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন আফ্রিদি। কথা প্রসঙ্গে তাই জানালেন। নতুন জীবনে সবার কাছ থেকে দোয়া চেয়েছেন তরুণ এ তারকা। আফ্রিদি বললেন, ‘বিয়ে তো একটা দায়িত্ব। সবার কাছে দোয়া চাইব, আমার জীবনটাকে যেন গুছিয়ে রাখতে পারি। আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সব সময় আপনাদের মাঝে এভাবে ভালোবাসা নিয়ে থাকতে পারি। আমি এখন আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভি নিয়ে ব্যস্ত। উপস্থাপনা করছি। ইউটিউব কনটেন্ট বানানোর কাজ করব।’
এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত থেকেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের বেশ কয়েকটি ছবি। বিষয়টি নিয়ে আফ্রিদির ঘনিষ্ঠমহলের কয়েকজন জানিয়েছেন, আফ্রিদির নামে বর্তমানে মামলা রয়েছে, এছাড়াও সরকার পতনের পর বিতর্কিত বেশ কিছু ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে চাচ্ছেন তিনি। যে কারণে বিয়ের পুরো আয়োজনটি ঘরোয়াভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে আত্মীয়স্বজন বাদে কাউকে রাখা হয়নি। পারিবারিক আয়োজনের সেই বিয়েতে আফ্রিদি-রিসাকে একাধিক ফ্রেমে দেখা মিলেছে। যেখানে শুধু দুজনের পরিবারের সদস্যরাই উপস্থিত ছিলেন।