ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গত বছর থেকে এ বছর নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্বে বায়ুদূষণে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে ছিল ঢাকা। তবে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বায়ুদূষণের তালিকায় আরেক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী, তবে দূষণের মাত্রা খুব বেশি কমেনি।
শীতের কুয়াশার সঙ্গে ঢাকার বাতাসে আজ যে দূষণ রয়েছে, তা সুস্থ মানুষদের জন্য খুব ক্ষতিকর। সকালে বায়ুর মান পরিমাপ করা হয়েছে ২৪০, যা গত দুই দিনের মতোই খুব অস্বাস্থ্যকর। এদিকে বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকা ও লাহোরকে টপকে শীর্ষে উঠেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইরানও।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
আজ ঢাকা ও আশপাশের যে তিন স্থানে দূষণ বেশি, এর মধ্যে আছে পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি (২৭২), মহাখালীর আইসিডিডিআরবি (২৩০) ও কল্যাণপুর (২২৭)।
ঢাকার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও দূষণ পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় আছে। রাজশাহীতে আজ বায়ুর মান ১৬৮, খুলনায় ১৬৬, চট্টগ্রামে ১৩৫, রংপুর ১৬৫, ময়মনসিংহ ১৫৮, বরিশাল ১৪১ ও চট্টগ্রাম ১৩৫।
এরই মধ্যে ঢাকার দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে—ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করে এমন যানবাহন রাস্তায় বের না করতে।
অন্যদিকে, আজ বায়ুদূষণের যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে আইকিউএয়ারের পরামর্শ, ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না আর ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।