রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

প্রায় সব সিনেমাই ফ্লপ, তবু আল্লু , প্রভাস, রণবীরদের চেয়ে ধনী জায়েদ খান

আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১

বলিউড সিনেমা 'ম্যায় হুঁ না' তে 'লক্ষ্মণ' চরিত্রের মাধ্যমে নজর কেড়েছিলেন অভিনেতা জায়েদ খান। সে সিনেমায় সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছোট ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করলেও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সুজান খানের ভাই, এবং হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন শ্যালক।

যদিও ‘ম্যায় হুঁ না’ ছাড়া অভিনয় কেরিয়ারে জায়েদ অভিনীত প্রায় সবকটি সিনেমাই সুপার ফ্লপ। তবে বলিপড়ার এই ফ্লপ হিরোই কিন্তু ১৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। আল্লু অর্জুন, প্রভাস, রণবীর কাপুরদের মতো বলিউডের সব নামজাদা হিরোদের থেকেও ধনী জায়েদ খান। কিন্তু কীভাবে?

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনয়ে ফ্লপ হিরো হলেও ব্যবসায়ী হিসাবে সফল জায়েদ খান। আর তাই তিনি সফল, নিজের সমসাময়িকদের চেয়ে অনেক ধনী।

জায়েদ খান ব্যক্তিগত জীবনে পরিচালক সঞ্জয় খানের ছেলে আর ফিরোজ খানের ভাগ্নে। জায়েদ ২০০৩ সালে, মাত্র ২২ বছর বয়সে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন। পরে তিনি ‘ম্যায় হুঁ না’ দশ সিনেমাতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এই দুটি সিনেমাই বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছিল। 

তবে হিট বলতে ‘ম্যায় হুঁ না’। আর ‘দশ’  গড়পড়তার চেয়ে বেশি আয় করেছিল। তবে হিরো হিসাবে কোনওদিনই আলাদা করে সাফল্যের স্বাদ পাননি জায়েদ। 

২০০৫-১২ সাল পর্যন্ত জায়েদ আরও ১০টি সিনেমায় অভিনয় করেন। আর সেই সবকটি সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এর মধ্যে ‘ফাইট ক্লাব’, ‘মিশন ইস্তাম্বুল’ এবং ‘তেজ’-এর মতো হাই-প্রোফাইল সিনেমা ছিল। 

জায়েদের সর্বশেষ সিনেমা ছিল ‘শরাফত গয়ি তেল লেন’, যেটি কিনা ২০১৫ সালে মুক্তি পায়। এটিও বক্স অফিস ফ্লপ। ২০১৭ সালে, তিনি টিভি শো ‘হাসিল’-এর হাত ধরে অভিনয়ে ফিরে আসেন। জায়েদ মোট ১৫টি ছবিতে কাজ করেছিলেন, যার মধ্যে হিট শুধুই ১টি, ১৩টি ফ্লপ। আর একটা গড় উপার্জনকারী ছবি।

জায়েদ খানের ব্যবসা ও সম্পত্তি
অভিনয়ে ফ্লপ হলেও জায়েদ ব্যবসায়ী হিসাবে সফল। তিনি বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন। 

২০২৪ সালে, ই টি রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। যদিও জায়েদ নিজের মুখে কোনও দিনও নিজের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে কথা বলেননি। কিন্তু বিষয়টি তিনি স্বীকারও করেননি বা অস্বীকারও করেনি। 

তবে এমন কথা প্রসঙ্গে শুধুই হেসেছেন। আর যদি একথা ঠিক হয়, তবে বলাই বাহুল্য, সম্পত্তির নিরিখে জায়েদ রণবীর কাপুর (৫৫০ কোটি), প্রভাস (৪০০ কোটি), আল্লু অর্জুন (৩৫০ কোটি) এবং রাম চরণের (১৩০০ কোটি রুপি) মতো তারকাদের চেয়েও বেশি ধনী।

এক সাক্ষাৎকারে জায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তার কোনও আর্থিক পরামর্শ আছে কিনা? তবে সেসময় তিনি শুধুই বলেছিলেন যে 'নিজের সাধ্যের মধ্যে থাকা উচিত'। 

এসময় তিনি আরও বলেন, 'একটা কথা আছে, ‘যদি তোমার ফেরারি কেনার সামর্থ্য থাকে, তাহলে একটা মার্সিডিজ কেনো, আর যদি তোমার একটা মার্সিডিজ কেনার সামর্থ্য থাকে, তাহলে একটা ফিয়াট কেনো। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে রয়েছি, আর সেখানে আপনার ভাবমূর্তিটা খানিক এমনই...। 

বাবা সঞ্জয় খানের সঙ্গে জায়েদ খান ও তার সন্তানরা

আপনার সেভাবেই চলা উচিত, যেটা আপনি চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। কিছু মানুষ এটা মেনে চলেন, তবে ৮০ শতাংশ মানুষই এটা মেনে চলেন না। তারা তাই ভেঙে পড়েন। তাদের ইএমআই আছে, ঋণ আছে, তারপরও তারা বোকা বোকা কাজ করে বসেন। এটা আসলে একটা খরগোশের গর্ত।’

সমসাময়িক চাপকে তিনি ‘ভয়ানক, অশ্লীল, অপরাধী' হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন অভিনেতা। তার কথায়,‘আমি জানি না এটা আদৌ তরুণদের জন্য এগিয়ে যাওয়ার সঠিক পথ কিনা, তবে মেরুদণ্ড আর চরিত্র ঠিক রাখুন।

চলতি বছরের শুরুর দিকে জায়েদ ইনস্টাগ্রামে অভিনয়ে ফেরার পরিকল্পনার কথা জানালেও তার কামব্যাক প্রজেক্ট নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাননি। 

অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি নিজের ব্যবসা ও অভিনয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখবেন।

ইত্তেফাক/পিএস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

 
unib