মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ১ নম্বর ফটকের সামনে কিছু মানুষ জড়ো হয়ে আছেন। লোহার ফটক ধরে সবাই মিলে কিছু দেখার চেষ্টা করছেন। মূলত একাডেমি মাঠে ক্রিকেটাররা অনুশীলন করছেন, প্রবল আগ্রহ নিয়ে তারা সেই অনুশীলনই দেখছেন। দেখায় কোনো ছেদ নেই। দূর থেকে দেখতে না পেয়ে অনেকে উঁকি দিচ্ছেন। ক্রিকেটারদের নিয়ে তাদের এমন আগ্রহ নতুন না। তাদের আগ্রহ আরও বাড়াতে ও ২২ গজের এই খেলাকে জনপ্রিয় করে তোলার পেছনে সারা বিশ্বেই অক্লান্ত পরিশ্রম করেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
কিন্তু এবার বিপিএলের আগে গণমাধ্যমকর্মীদের অন্যরকম অভিজ্ঞতা দিচ্ছে বিসিবি। এবারের বিপিএল হবে অন্যরকম, এমন ঘোষণা শুরু থেকেই দিয়ে আসছে বিসিবি। সেই ঘোষিত অন্যরকমের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের অন্যরকমের তফাৎ রয়েছে। একাডেমি মাঠে ক্রিকেটাররা অনুশীলন করলে গণমাধ্যমকর্মীরা সেটি মিডিয়া সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে দেখেন। কিন্তু এবার আর সহজে দেখা যাচ্ছে না। কালো কাপড় ও ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ জায়গা। এক কোনায় কিছু জায়গা খোলা রাখা হয়েছে। সেখান থেকে স্পষ্ট দেখা যায় না কারা অনুশীলন করছেন, কী করছেন। এক কোনায় হওয়ায় মাঠের বেশির ভাগ অংশে কী হচ্ছে তা বোঝা যায় না। কিছুটা কসরত করে দেখলে আন্দাজ করা যায় মাত্র।
আর গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়ের কারণে অনেকে একবার উঁকি দিয়ে শান্ত হচ্ছেন। অনুশীলনে কে কী করছেন, কীভাবে করছেন সেটি যদি না দেখা যায়, তাহলে সমর্থকদের জানানোর উপায় কী? বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো অনুশীলনের ভিডিও সরবরাহ করছে। কিন্তু একেক জনের দেখার চোখ একেক রকম, প্রকাশের ধরনও ভিন্ন। সরবরাহকৃত ভিডিও দেখে সেটি করা সম্ভব না।
বিসিবি এর আগে জানিয়েছিল, ক্রিকেটারদের প্রাইভেসি নষ্ট হয়, সেজন্য এভাবে বেশির ভাগ জায়গা ঢেকে দেওয়া হয়েছে। গতকাল তামিম ইকবালও জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে এই ঢেকে দেওয়ার পক্ষে তিনি। বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম অবশ্য বিস্তারিত জানেন না। তিনি বলেছেন, 'খেলোয়াড়দের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে, তারা প্রাইভেসি চাচ্ছে। তবু আমরা এটা আবারও বিবেচনা করে দেখব। মিডিয়া যেন কাভার করতে পারে, আমরা সেটি চাই।'