মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

সচিবালয়ে আগুন

‘প্রতিবেদন সন্তোষজনক, শতভাগ নিশ্চিতে নমুনা পরীক্ষা বিদেশে’

আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৩

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির দাখিল করা প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে ‘সরকার সন্তুষ্ট’ বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এরপরও এটি যে দুর্ঘটনা সে বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হতে কিছু নমুনা বিদেশে নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা জানান।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বৈদ্যুতিক লুজ কানেকশনের কারণে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি। কমিটি গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

আগুন লাগার ঘটনাটি ‘দুর্ঘটনা’ হলে আলামত বিদেশে পাঠানো হচ্ছে কেন- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের উদ্দেশে রিজওয়ানা হাসান বলেন, আপনি যে প্রশ্নটা করলেন, এই প্রশ্নের সন্দেহাতীত জবাবের জন্য কিছু নমুনা বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। একটি জিনিস খেয়াল করতে হবে, আসলে যে কোনো একটি ঘটনার পর আমরা কতগুলো দৃষ্টিবোধ, কতগুলো মতামত ও কতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। তারপর ভিন্ন কোনো কথা শুনলে ওটা আর আমরা মানতে চাই না।

তিনি বলেন, আজ যারা বিশেষজ্ঞ ছিলেন তারা আমাদের ক্লোজআপে দেখিয়েছেন কীভাবে আগুনের সূত্রপাত এবং সচিবালয় ভবনগুলোর নির্মাণের কারণে কীভাবে এটি একটি অবস্থান থেকে আরেকটি অবস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। যে কুকুরটির কথা বলা হয়েছে সেটি এর আগে ওই ফ্লোরে গেছে। সে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে একটি চেয়ারের ওপরে কুশনে গিয়ে ঘুমায়।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কিছু নমুনা বিদেশে পাঠানো হয়েছে, কারণ আমরা যেন সব রকমের সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকতে পারি। সত্যিই যদি এটি নাশকতা হতো, তাহলে ঘটনাটি কী রকম ঘটতে পারতো, উনারা সেটি দেখিয়েছেন। কোন জায়গা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়েছে- স্পষ্ট করে, স্লো মোশনে তারা দেখিয়েছেন। আমার ধারণা এগুলো আপনাদের সবার কাছেই অ্যাভেইলেবল আছে।

সচিবালয়ে আগুন

সরকারের এ উপদেষ্টা আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথম কথা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডটা আসলে খুবই ভীতিকর, আমাদের অনেক বড় দুশ্চিন্তার কারণ। এখানে কিন্তু আমরাই অফিস করি, তাই কোনো কিছু হলে প্রথম আঁচটা আমাদের গায়ের ওপরই পড়বে। যারা ওখানে অফিস করেন, তাদের জন্য এটি একটি সাংঘাতিক ট্রমাটাইজিং ব্যাপার। আমরা আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে শতভাগ নিশ্চিত হতে চাইবো।

তিনি বলেন, আমরা কোনো বায়াসড হয়ে এ কমিটি করিনি। আমরা বুয়েটকে বলেছি আপনারা তিনজন বিশেষজ্ঞ দিন। বুয়েট নিরপেক্ষভাবে দিয়েছে। এরপর আরও আটজন বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই ভরসা না করার কোনো কারণ আছে বলে আমরা মনে করি না।

ইত্তেফাক/এনএ