ক্যাচ আউটের আবেদনে স্নিকো মিটারে আসেনি কোনো পরিবর্তন। তবুও ভারতীয় ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়ালকে আউট দেন বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত। এরপর থেকে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। জয়সওয়ালকে আউট দিয়ে ভারতীয়দের তোপের মুখে পড়েন বাংলাদেশি এই আম্পায়ার। আবার অনেকের সমর্থনও পেয়েছেন সৈকত।
জয়সওয়াল আউট নিয়ে এবার পাওয়া গেল স্বয়ং স্নিকো পদ্ধতির আবিষ্কারক সংস্থার বক্তব্য। ক্রিকেটে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএসে কয়েক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে ব্যাটে বা প্যাডে বল লেগেছে কি না, তা বুঝতে রিয়েল টাইম স্নিকো (আরটিএস) বা আল্ট্রা এজ এবং হট স্পটের সাহায্য নেওয়া হয়।
স্নিকো মূলত শব্দকেন্দ্রিক ফল দেয়। বল যতটা জোরে বা তীব্রতার সঙ্গে ব্যাট বা প্যাড স্পর্শ করে, তরঙ্গ চিহ্ন ততটাই স্পষ্ট ফুটে ওঠে। হটস্পটে ফুটে ওঠে বল ব্যাট বা প্যাডের ঠিক কোন জায়গায় কতটুকু স্পর্শ করেছে।
স্নিকো প্রযুক্তির উদ্ভাবক বিবিজি স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠাতা ওয়ারেন ব্রেনান অনেকটা দায়মুক্তি দিয়েছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকতকে। নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিপ্রধানেরও দায়িত্বে থাকা ব্রেনান কোড স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছেন বিতর্কিত এই আউট নিয়ে।
ব্রেনান জানান স্নিকো হালকা স্পর্শ বা আলত আঘাতের বিষয়টি সব সময় ধরতে পারে না। তিনি বলেন, ‘(জয়সওয়ালের) এই শটটাও তেমনই একটা শট, যেটায় কোনো শব্দ হয়নি। স্নিকোও তা–ই কোনো শব্দ (তরঙ্গ চিহ্ন) দেখায়নি। আমি অডিও পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও বলেছেন কোনো শব্দ হয়নি। সম্ভবত হট স্পটই এ ক্ষেত্রে সমাধান দিতে পারত।’
উল্লেখ্য, হট-স্পট নিয়ে একাধিক বিতর্কের পর ২০১৩ সালের অ্যাশেজ পরবর্তী সময়ে আর কখনই দেখা যায়নি এই প্রযুক্তি। স্নিকোতেই তাই ভরসা রাখছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু জয়সওয়ালের আউটে প্রযুক্তির তোয়াক্কা না করেই চোখের দেখায় বলের দিক পরিবর্তন অনুযায়ী জয়সওয়ালকে আউট দেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত।