এম এস দৌলা গীতিকার সুরকার এবং কণ্ঠশিল্পী। নিজের লেখা ৫০টি গানের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ১০টি গানের কাজ শেষ হয়েছে। কয়েকটি মুক্তিও পেয়েছে। তার নিজের করা ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন তিনি। সংগীতের ভুবনে যাত্রা শুরুর সময় এবং গান করার অভিজ্ঞতা নিয়ে ইত্তেফাক ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলেছেন এই কন্ঠশিল্পী।
ইত্তেফাক : গানের অনুপ্রেরণা এবং সংগীতে যাত্রা শুরুর গল্প শুনতে চাই।
এম এস দৌলা : মায়ের অনুপ্রেরণায় সংগীতের প্রতি আগ্রহ জন্মেছে। কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন করা সময়কালীন গায়ক হওয়ার জন্য মনস্থির করি। ২০১৪ সালে আধুনিক গানে বিটিভিতে তালিকাভূক্ত শিল্পী হয়েছি। তারপর নিয়মিত গান লেখা ও সুর করা অব্যাহত রেখেছি।
ইত্তেফাক : আপনার কয়টি গান মুক্তি পেয়েছে?
এম এস দৌলা : ২০২৩ সালে বিটিভিতে প্রচারিত হয় আমার ‘আনমনা’ শিরোনামের একটি গান। আমার প্রথম গান অবশ্য ‘অনশন’। গত বছর ১৬ ডিসেম্বর এই গানটি রিলিজ হয়েছে। এটিএন বাংলাতে দুইবার গানটি প্রচারিত হয়েছে। ‘ঢেউ’ শিরোনামের একটি গান আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তি পাবে। ‘প্রিয়তমা’ শিরোনামের একটি গানের কাজ প্রায় শেষ। একটি চলচ্চিত্রের জন্য তৈরি করছি গানটি।
ইত্তেফাক : নিজের প্রডাকশন হাউজের বিষয়টি কখন মাথায় এলো?
এম এস দৌলা : অডিও কোম্পানিতে ১০-২০ হাজার টাকার জন্য স্বত্ব বিক্রি করে দিতে হয়। তাই আমি নিজের অর্থায়নে প্রডাকশন হাউজ তৈরি করি। ইউটিউব চ্যানেল করি। সেখানেই আমার গানগুলো রিলিজ করি এখন। সেখান থেকে নিয়ে টিভি চ্যানেলও আমার গান প্রকাশ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘দৌলা অফিশিয়াল’ এবং ‘দৌলা প্রডাকশন ব্যানার’ আমার প্রডাকশনের নাম। ৫০টি গানটি নিয়ে পরিকল্পনা করে এগোচ্ছি। আমি আমার কথাগুলোকে গানে রূপ দিতে চাই। গানের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করতে হয় করব। প্রয়োজনে জমি বিক্রি করে দেব।
ইত্তেফাক : বাংলা গানের বর্তমান অবস্থা কেমন মনে করছেন?
এম এস দৌলা : এখন তো আর অ্যালবাম হয় না। গান পরিণত হয়েছে ভাইরাল কন্টেন্ট হিসবে। যার জন্য গানের মান কমে যাচ্ছে। বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছি।
ইত্তেফাক : কাদেরকে ফলো করেন?
এম এস দৌলা : প্রয়াত প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর দাদা আমার রোল মডেল ছিলেন। তার গানগুলো আমি এখনো স্টেজে গাই এবং ব্যান্ড লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু দ্বারাও আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।