জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে পদযাত্রা শুরু করেন তারা। অনশনকারী অসুস্থ শিক্ষার্থীরা রিকশায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা হেঁটে যাত্রা করেন। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা।
এর আগে তিন দফা দাবিতে গণ–অনশন করে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেন। ক্যাম্পাসের মূল ফটক, প্রশাসনিক ভবন ও বিভিন্ন অনুষদের ভবনে তারা তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ ছাড়া সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিকে ‘অস্পষ্ট’ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না এলে সোমবার রাতে সচিবালয়ে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।
অনশনকারীরা জানান, মন্ত্রণালয় তাদের দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়নি। তারা চিঠি সংশোধনের দাবি জানান এবং দ্রুত সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ নতুন চিঠি না পেলে রাতে সচিবালয়ে অবস্থান নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো: দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে; পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে; যত দিন আবাসন ব্যবস্থা না হয়, তত দিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
অনশনরত শিক্ষার্থী রায়হান রাব্বি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা দাবির কথা জানিয়েছেন। দাবি না মেনে নিলে তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তাদের দাবি মেনে নিয়ে আগামী বুধবারের মিটিংয়ে লিখিত অঙ্গীকার দিলেই তারা অনশন ভাঙবেন জানিয়ে বলেন, স্বাক্ষর হওয়া আগ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এদিকে রোববার (১২ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া গণ অনশনে প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওইদিনই রাত ১০টার সময় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সাতজন শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে।