রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

৩ দশক পর কাহারোলে কাঠের তৈরি ফার্নিচারের সুদিন ফিরছে

আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৪

প্রায় তিন দশক পর দিনাজপুরের কাহারোলে আবারও ফিরতে শুরু করেছে কাঠের তৈরী ফার্নিচারের সুদিন। স্বল্প দামে উন্নত কাঠ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইনের কারণে আবারও সুদিন ফিরে আসছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট কাহারোল হাট। সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার এ হাটটি বসে। যেখানে বিক্রি হয় কাঠের তৈরি নানা রকম ফর্নিচার।  স্বল্প দামে উন্নত মানের  ফর্নিচার প্রাপ্তির কারণে এ হাটটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কাঠের তৈরি ফার্নিচার কিনতে দূর দূরান্ত থেকেও ছুটে আসছেন ক্রেতারা। প্রতিহাটে এ বাজারে লাখ লাখ টাকা হাতবদল হয়। কাহারোল বাজার থেকে পাইকারি দামে ফার্নিচার সংগ্রহ করে আশপাশের জেলা-উপজেলায় খুচরায় বিক্রি করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কাহারোলে কাঠের তৈরি ফার্নিচার বিক্রির জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণে সম্প্রতি সময়ে কাহারোল সদরে অন্তত অর্ধশত ফার্নিচার কারখানা গড়ে উঠেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আশির দশকের কাহারোলে তৈরিকৃত কাঠের ফার্নিচারের বিশেষ কদর ছিল উপজেলাজুড়ে। কিন্তু ৯০ দশকের পরে স্টিলসহ বিভিন্ন উপকরণে ফার্নিচার তৈরি শুরু হয়। এতে কমতে শুরু করে  কাঠের তৈরি ফার্নিচারের বাজার। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে স্বল্প দামে উন্নত কাঠ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইনের কারণে আবারও কাহারোলে কাঠের তৈরি ফার্নিচারের কদর বাড়ছে। উপজেলায় শনি ও মঙ্গলবারের দুই হাটে বিক্রি হয় লাখ লাখ টাকার ফার্নিচার। এর মধ্যে রয়েছে টেবিল, চেয়ার, সোফা, খাট, আলমিরাসহ নানা ডিজাইনের সব আসবাবপত্র।

ব্যবসায়ী মো. হান্নান বলেন, একসময় কাহারোলে কাঠের তৈরি ফার্নিচারের খুব কদর ছিল। কিন্তু ৯০ দশকের পর  প্লাস্টিক ও স্টিলের ফার্নিচারের ব্যবহার বেড়ে যায়। তবে গত কয়েক আবারও কাঠের তৈরি ফার্নিচারে ঝুঁকছে মানুষ। প্রতি হাটে গড়ে লাখ টাকার  ফার্নিচার বিক্রি হয়।

ক্রেতা মো. ইব্রাহিম বলেন, খুব সস্তায় কাঠের তৈরি ফার্নিচার পাওয়া যাওয়ার কারণে কাহারোল হাট থেকে ফার্নিচার কিনতে এসেছি। কম দামে ভালো ফার্নিচার পাওয়া যায় এ বাজারে।

কাঠ ব্যবসায়ী মাহতাব উদ্দিন বলেন, কাহারোলে ফার্নিচার ব্যবসা আবারও জনপ্রিয় হচ্ছে। শুধুমাত্র কাহারোল সদরে অন্তত ৫০টির বেশি কারখানা গড়ে উঠেছে। 

ইত্তেফাক/এপি
 
unib