জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিক্রেতার দেয়া ইউনিয়ন কোম্পানির রেক্সিথেন এম-৪৫ ও এ্যাসফস-৪৮ ইসি কীটনাশক আলু ক্ষেতে দেওয়ার পর বিশ্বজিৎ সিং নামের এক আদিবাসী কৃষকের দুই বিঘা জমির আলুর পচে নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের পূব আটাপুর জেরকা পাড়া গ্রামে। এতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।
অভিযোগে ও সরেজমিনে জানা যায়, বিশ্বজিৎ সিং এক সপ্তাহ পূর্বে উপজেলার উচাই বাজারের মেসার্স হাসি-খুশি ভ্যারাইটি ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী মামুন রশিদের কাছ থেকে উক্ত কোম্পানির রেক্সিথেন এম-৪৫ ও এ্যাসফস-৪৮ ইসি কীটনাশক ক্রয় করে দুই বিঘা আলুর জমিতে স্প্রে করেন। স্প্রে করার পর থেকে তার ক্ষেতের সমস্ত আলু গাছ পচে মরতে শুরু করে।
ভুক্তভোগী কৃষক বলেন, দোকাদারের দেয়া ভুল ও নিম্নমানের কীটনাশক জমিতে ছিটানোর ফলে তার আলুর গাছ পুড়ে যাচ্ছে। বিষয়টি কীটনাশক বিক্রেতাকে জানালে তার করার কিছুই নাই বলে কৃষককে জানান।
এ বিষয়ে কীটনাশক বিক্রেতা মামুন রশিদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কৃষি অফিসের লোকজন এসে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছেন। কি মীমাংসা হয়েছে জানতে চাইলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, ঐ কৃষকের আলুতে পঁচারী রোগ ধরেছে। আমার দোকানের কীটনাশক প্রয়োগে কোন ক্ষতি হয়নি।
পরে বাধ্য হয়ে কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেন।
নির্বাহী অফিসার কৃষি বিভাগকে এ বিষয়ে প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বললে ক্ষেতটি পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ঔষধ প্রয়োগে কৃষকের আলুর ক্ষেতের কোন ক্ষতি হয়নি। আলু গুলো লেটব্লাইট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কৃষক সঠিক সময়ে ও পরিমাণ মত কীটনাশক প্রয়োগ না করায় এমনটি হয়েছে। আমরা তাকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, কৃষি কর্মকর্তাকে বিষয়টি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। ঘটনা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।