শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর অঙ্গহানি, ১০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:২০

সাতক্ষীরায় পল্লী বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ডান হাত ও ডান পা হারানো শিশুটির চিকিৎসায় জরুরি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৩০ দিনের মধ্যে আপাতত ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি এ আদেশ দেন।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুটির অঙ্গহানির ঘটনায় ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর শিশুটির বাবা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। শিশুটির কী কী চিকিৎসার প্রয়োজন এবং এর সম্ভাব্য ব্যয় জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে তৎকালীন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের (বর্তমানে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট) পরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশ অনুসারে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে সর্বমোট খরচ ধরা হয় ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৮২ টাকা।

রিটের ধারাবাহিকতায় শিশুটির চিকিৎসায় জরুরি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশনা চেয়ে ৫ জানুয়ারি সম্পূরক আবেদন করেন শিশুটির বাবা।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মুহম্মদ তারিক-উল ইসলাম ও ফরিদ হাসান মেহেদী শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ, শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

আদেশের পর আইনজীবী মুহম্মদ তারিক-উল ইসলাম বলেন, শিশুটির চিকিৎসায় জরুরি আর্থিক সহায়তায় আপাতত ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিশুটির বাবার অনুকূলে এক মাসের মধ্যে এই অর্থ দিতে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনকারীপক্ষের তথ্য অনুসারে, সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার প্রতাপনগরের মো. আবদুর রাজ্জাকের বসতবাড়ির ওপর দিয়ে নকশাবহির্ভূত বিদ্যুতের লাইনে ২০২১ সালের ৯ মে বিদ্যুতায়িত হয় তার সাত বছরের ছেলে শিশু রাকিবুজ্জামান। এতে শিশুটির হাড়-মাংস ঝলসে যায়। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ মে শিশুটির ডান হাত বগল থেকে ও ডান পা হাঁটু থেকে নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়।

এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২০২১ সালের ২৫ মে শিশুটির বাবা সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্ষতিপূরণ ও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন। এতে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না দেখে ২০২১ সালে শিশুটির বাবা রিট করেন।

ইত্তেফাক/আরএস
 
unib