মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

রাজনীতিবিদরা কি বলবেন এটা উপদেষ্টারা শেখাবেন কি না, প্রশ্ন রিজভীর

আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫৯

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অন্যতম সমন্বয়ক, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজনীতিবিদরা কোন বিষয়ে কথা বলবেন, কোনটাকে সমর্থন করবেন আর কোনটাকে নয়, এটা কি উপদেষ্টারা শেখাবেন?

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বনানী করবস্থানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা এক-এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে।

এর জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা সব ঘটনা অতিক্রম করে বুক চিতিয়ে বছরের পর বছর রাজপথে থেকেছি। কোনটাকে সমর্থন করতে হবে আর কোনটাকে নয়, আর কোন বিষয়ে কথা বলতে হবে এটা কি উপদেষ্টারা এসে বিজ্ঞ রাজনীতিবিদের শেখাবেন?

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কেজিপ্রতি ২ টাকা থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের দৃষ্টিহীনতা নিয়ে কি সমালোচনা করা যাবে না? সরকারের প্রশাসন যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে তার জন্য কি সমালোচনা করা যাবে না? তাহলে কীসের ভয় দেখান, যে ১/১১ এর পুনরাবৃত্তি হবে।

সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, জিয়া পরিবার থেকে শুরু করে দেশের আপামর জনতার এতো ত্যাগ, আত্মদান এতো রক্ত ঝরেছে শুধু একটু মুক্ত নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য। তার ফলশ্রুতিতে ৫ আগস্ট বাংলাদেশ কাঁপানো, পৃথিবী কাঁপানো একটি বিজয় দেখেছি। এই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। সব গণতন্ত্রকামী দল এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছে।

অবাধ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এতো গড়িমসি কেন, মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের প্রত্যাশা এই সরকার নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু যখন শুনি আগে সংস্কার পরে নির্বাচন, এ যেন মনে হয় শেখ হাসিনার সেই প্রতিধ্বনি- আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র। কোনো উপদেষ্টার কাছে এটা শোভা পায় না।

ড. ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, আমাদের সব আস্থা আপনার উপর দেওয়া হয়েছে। তাহলে এতো গড়িমসি কেন। কেন শেখ হাসিনার কথার পুনরাবৃত্তি হবে, আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। আমরা এই কথা শুনতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যুগের পর যুগ ধরে সংস্কার হতে পারে। এর জন্য গণতন্ত্রের যে প্রক্রিয়া, গণতন্ত্রের প্রবাহমান নির্বাচনকে আটকে রাখবেন কেন?

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সারা বাংলাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছিলো বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মায়ের কোলে মৃত সন্তানের মাথা দেখে এ দেশের কোটি কোটি মানুষ কেঁদেছে। শেখ হাসিনার বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতায় একজন সন্তানের সৎকারের সুযোগ দেওয়া হয়নি।

করব জিয়ারতের সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকসহ নেতাকর্মীরা।

ইত্তেফাক/এটিএন
 
unib