২০২৪ সালে জলবায়ু সংকটের কারণে বিশ্বের কমপক্ষে ২৪ কোটি ২০ লাখ শিক্ষার্থীর স্কুলশিক্ষা ব্যাহত হয়েছে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। ২৪ জানুয়ারি (শুক্রবার) আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসে প্রকাশিত জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফের নতুন বিশ্লেষণে এমনটাই উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে ইউনিসেফ জানিয়েছে, তাপপ্রবাহ, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, ঝড়, বন্যা এবং খরাসহ চরম জলবায়ুর কারণে ৮৫টি দেশের কমপক্ষে ২৪ কোটি ২০ লাখ শিক্ষার্থীর স্কুল শিক্ষা ব্যাহত হয়েছে। এটি চলমান শিক্ষার সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এতে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, মোজাম্বিক, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং কাজাখস্তানের শিক্ষার্থীরা।
ইউনিসেফ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু ঝুঁকিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে, বিশেষ করে যেসব দেশে স্কুল বন্ধ হয়ে যায় বা স্কুলের সময়সূচিতে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটে। তারা প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিশুদের উপর পরবর্তী প্রভাবও বিশ্লেষণ করেছে।
তারা দেখেছে, জলবায়ু সংকটের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছর এই অঞ্চলের ১২ কোটি ৮০ লাখ শিক্ষার্থী জলবায়ু সম্পর্কিত ঝামেলায় স্কুলশিক্ষায় বাধার মুখে পড়ে। পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৫ কোটি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ইউরোপে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ইতালি ও স্পেনের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া ব্যাহত হয়েছে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, শক্তিশালী ও ঘন ঘন তাপপ্রবাহ, ঝড়, খরা ও বন্যাসহ আবহাওয়াজনিত সংকটের প্রভাবে শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। শিশুরা শ্রেণিকক্ষে মনোনিবেশ করতে পারে না, প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে রেহাই পায় না। রাস্তা বন্যায় প্লাবিত হলে বা স্কুল ভেসে গেলে তারা স্কুলে যেতে পারে না।
তিনি বলেন, গত বছর প্রতিকূল আবহাওয়া প্রতি সাতজন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনকে ক্লাসের বাইরে রেখেছিল। সেই সঙ্গে হুমকির মুখে ফেলেছিল তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে। ফলে তাদের দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষা প্রভাবিত হয়েছিল।