বাফুফে ভবন ব্যস্ত। পুরোনো বছরের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এটা আছে তো ওটা নেই, ওটা আছে তো সেটা নেই। বছরের হিসাব মেলাতে সব প্রতিষ্ঠানেই ব্যস্ততা থাকে, বাফুফের ব্যস্ততাও রয়েছে। ফিফার প্রতিনিধি আসবেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে। তারা ঢাকা এসে বাফুফে ভবনে বসে হিসাব মিলিয়ে ওকে করলেই তবে শান্তি। তাই এখন হিসাব বিভাগ মহাব্যস্ত সময় পার করছে।
বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল জানিয়েছেন, তিনি পুরোনো বছরের হিসাবের ঝামেলা মিটিয়ে নতুন বছরের পরিকল্পনা করতে পারবেন। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানিয়েছেন, তারা ব্যস্ত ফিফার লোকজন আসবে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে।
ফিফার সদস্য দেশগুলোকে ফিফা যেসব অর্থ দেয়, তার পুরো হিসাব মিলিয়ে নেয় ফিফা। টাকা ফিফার, হিসাবও নেবে ফিফা। যতক্ষণ না পর্যন্ত হিসাব মিলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অডিট ওকে হবে না এবং পুনরায় নতুন কোনো অনুদানও ছাড় পাবে না। ২০ বছর আগে সহজ ছিল, হিসাব বুঝিয়ে দিলেই হতো, খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করতেন না ফিফার কর্মকর্তারা। তখন বলে দেওয়া হতো কোন খাতে কত পারসেন্ট টাকা খরচ করা যাবে।
গত পনেরো ষোলো বছরে নিয়মটা ছিল নির্ধারিত তালিকার বাইরে বাফুফে যে ধরনের প্রকল্প হাতে নেবে তা তার পেছনে অর্থ ব্যয় করতে হলে অনুমোদন নিতে হবে। ফিফার অর্থে একটা প্রকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী প্রকল্প গ্রহণে অনুমোদন দেবে না। অর্থ খরচে তালিকা দেখে সন্তুষ্ট হলেই ফিফা একটা সনদ পাঠায়। বাফুফে চাইছে বর্তমান হিসাব মিলে গেলে, ফিফার টেবিলে নতুন যেসব প্রকল্প রয়েছে তখন সেগুলো চাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে।
সমস্যা হচ্ছে বাফুফের বর্তমান সিএফওকে ঠেলে ঠেলে কাজ করাতে হয়। যতদূর জানা গেছে, কোনো কিছুই গোছানো নয়। বর্তমান সিএফওর কাজও বাফুফের নীতি-নির্ধারণী মহলে পছন্দ হচ্ছে না। ফিফা গোছানো কাজ পছন্দ করে। সামনে ফিফার অনেক প্রকল্প রয়েছে সেগুলো নিয়ে দ্রুতই কথা বলতে চায় ফেডারেশন। কিন্তু তার আগে পুরোনো হিসাব চুকিয়ে নতুন হিসাবের খাতা খুলতে হবে।