মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার খেটে-খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া অফিস জানান, গত বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীত নিয়ে কুড়িগ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, এত শীত আর সহ্য করা যাচ্ছে না। এই তীব্র শীতের মধ্যে সকালে কাজে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তবুও পেটের দায়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছি।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা-ফেরুষা গ্রামের আরেক কৃষক কাশেম আলী জানান, প্রতি বছরেই বোরো ধান রোপণের কাজ করি। এ বার খুবই ঠাণ্ডা! ঠাণ্ডাতে সর্দি-কাশি শুরু হইছে! মন চায় না ঠাণ্ডার মধ্যে কাজে যাই। তবে জীবন-জীবিকার তাগিদে এই ঠাণ্ডার মধ্যেও অন্য কাজ করছি।
ইউনিয়নের গজেরকুটি গ্রামের দিনমজুর কিশোব চন্দ্র রায় বলেন, যতই ঠাণ্ডা হোক আমাদের মতো দিন মজুরের ঘরে বসে থাকার কপাল নেই। কাজ না করলে সংসার চলবে কি করে।
রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, তাপমাত্রা নিম্নগামী হচ্ছে। শেষ তিন দিনে তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি কমেছে। তিনি আরও বলেন শৈত্য প্রবাহের কোন পূর্বাভাস নেই তার কাছে, কোন খবর আসা মাত্রই জানাবে।