জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া একই অভিযোগে তার স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই শ্যালকের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শরীফ আহমেদ সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে ১২টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪২ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৪০৯ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন ও ওই অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর, ও স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি শরীফ আহমেদের স্ত্রী শেফালী বেগম, শ্বশুর গোলাম মোস্তফা, শাশুড়ি জাহানারা বেগম, শ্যালক মো. শাহআলম ও মোহাম্মদ শামীমের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছ। এ ছাড়া তাদের ব্যাংক হিসাবসমূহে বিপুল পরিমাণ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। লেনদেন করা অর্থের উৎস কী, তা জানতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেয়া হলেও তারা বক্তব্য দেয়ার জন্য হাজির হননি। এ কারণে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, বিপুল পরিমাণ লেনদেন করা অর্থ অন্য কোনো মাধ্যমে বিনিয়োগ, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে তারা কোনো অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন কি না এবং ওই সম্পদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের নিজ সম্পদ কি না, তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট কারণ আছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ব্যাপক লেনদেনের বিষয়টি আরও যাচাইয়ের জন্য আসামি শরীফ আহমেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তিদের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪-এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক আলাদা আলাদা সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির সুপারিশ করা হয়েছে।