ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ-তিতাস এর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয়েছে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নবীন ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপলক্ষে দুপুর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। নবীনবরণ উৎসব উপলক্ষে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী শীতকালীন বিভিন্ন পিঠা, মুখরোচক খাবার ও সাজগোজের সামগ্রীর স্টল বসে। সেসব স্টল থেকে শিক্ষার্থীদেরকে উৎসবমুখর পরিবেশে খাবার ও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী কিনতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী ও অতিথিদের জন্য ছিল আকর্ষণীয় উপহার সামগ্রী ও স্ন্যাকস।
আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় তিতাসের সদস্যদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, রম্য বিতর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সাক্ষী হয় এক অনবদ্য সন্ধ্যার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে র্যাফেল ড্র ছিল সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। সবশেষে সবার জন্য বিবিকিউ সেগমেন্ট আলাদা নজর কেড়েছিল।
উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান জনাব মো. তাজুল ইসলাম (গ্রেড-১)। আরও উপস্থিত ছিলেন মাস্টারদা সূর্যসেন হলের সাবেক জিএস সাইদুল হক সাইদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ-তিতাস এর সভাপতি জনাব লিমন মাহমুদ হাসান।
এ বিষয়ে তিতাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান রবিন বলেন, বরাবরের মতোই সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীন শিক্ষার্থীদের আমরা বরণ করে নিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের উন্মুখ পরিবেশের সিনিয়র-জুনিয়রসহ সকলের উপস্থিত আমাদের অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত করে তুলেছে। প্রতি বছর তিতাস আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাঝে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অন্যতম একটি উপভোগ্য অনুষ্ঠান হিসাবে ইতিমধ্যে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে। শিক্ষা, সহযোগিতা, সংস্কৃতি ও ভ্রাতৃত্বের পরিবার তিতাস সব সময়ই ব্যতিক্রম কিছু করে থাকে, এবারের প্রোগ্রামও তার বাইরে নয়।
এ বিষয়ে তিতাসের সভাপতি লিমন মাহমুদ হাসান বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী ধারা তিতাসেও অব্যাহত ছিল। কিন্তু আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে দায়িত্ব নিয়েছি। দায়িত্বশীল জায়গা থেকে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বোধ নির্মাণে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাব।