রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ তিনদফা দাবিতে অনশন ও সড়ক অবরোধের পর এবার মহাখালী রেলগেট অবরোধ করে রেললাইনের উপর অবস্থান নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা সেকশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে আমরা খবর পেয়েছি, ছাত্ররা নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দিয়েছে। রেলওয়ে থানার ওসি বলেছেন, আপাতত পরিস্থিতি ভালো না, ট্রেন চলাচল যেন বন্ধ রাখি। তার কথামতো সব ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
ঢাকা থেকে যেসব ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হতে পারে—
ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এখনও দিনের ১৮টি আন্তঃনগর ট্রেনের ঢাকা থেকে ছাড়ার শিডিউল রয়েছে। এসব ট্রেনের মধ্যে ১৭টি ঢাকা থেকে ছাড়তে বিলম্ব হতে পারে।
শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে—
সিরাজগঞ্জগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৭৬), চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস (৭০২), তারাকান্দিগামী যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৫), চিলাহাটিগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস (৮০৫) দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস (৭৪৩), কিশোরগঞ্জগামী এগারসিন্ধুর গোধূলি (৭৪৯), খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৪), পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস (৭৫৭), কুড়িগ্রামগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (৭৯৭), চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২) লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস (৭৫১), সিলেটগামী উপবন এক্সপ্রেস (৭৪০), মোহনগঞ্জগামী হাওর এক্সপ্রেস (৭৭৭), কক্সবাজারগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৪), রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৫৯), চট্টগ্রামগামী তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪২) ও পঞ্চগড়নগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (৭৯৩)।
এছাড়া বেনাপোলগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৬) ট্রেনটি পদ্মা সেতু হয়ে যাবে বলে ট্রেনটি বিলম্ব নাও হতে পারে।
এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর মহাখালীর আমতলীতে কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুরের দিকে উপস্থিতি বাড়লে তারা মহাখালী রেলগেটে আসেন।
দুপুর সাড়ে তিনটার পর মহাখালী রেলগেট অবরোধ করে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। সরেজমিন দেখা যায়, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালী রেলগেটে লাইনের উপর শুয়ে রয়েছেন। এতে কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস আটকে যায়। পরে তা আবার উলটোপথে ফিরে যায়।