শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

এবার গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করল রাশিয়া

আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:১১

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত নিরসনে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই একমাত্র পথ। এ বিষয়ে আরব দেশগুলোর সঙ্গে মস্কোও একই অবস্থান রয়েছে।

হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প গাজা নিয়ে তার আগের ধারণা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গাজায় বসবাসরত ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে মিশর ও জর্ডানের মতো দেশগুলোতে পুনর্বাসন করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলটি 'দখল' করবে এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, তা পরিষ্কার করার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, মস্কোর অবস্থান হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত সমাধানের একমাত্র উপায় হলো ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এই থিসিসটি জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রাসঙ্গিক রেজোলিউশনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি এমন থিসিস, যা এই সমস্যায় জড়িত বেশিরভাগ দেশ মত দিয়েছে। আমরা এটি থেকেই এগিয়ে যাই, আমরা এটি সমর্থন করি এবং বিশ্বাস করি যে, এটিই একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প।

পেসকভ উল্লেখ করেন, ট্রাম্পের পুনর্বাসনের ধারণা মিসর ও জর্ডানসহ বড় আরব দেশগুলোও প্রত্যাখ্যান করেছে। মস্কোরও একই অবস্থান রয়েছে।

'অধিগ্রহণ' বলতে ট্রাম্প ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করতে বললে এই প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি গাজা নিয়ে একটি 'দীর্ঘমেয়াদী মালিকানার' স্বপ্ন দেখেন। নেতানিয়াহু ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রশংসা করে বলেন, এটি ইতিহাস বদলে দিতে পারে।

প্রস্তাবটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। সৌদি আরবের পাশাপাশি তুরস্ক, জার্মানি ও চীনসহ আরব দেশগুলোও এর নিন্দা জানিয়েছে।

রাশিয়া বরাবরই সংঘাত থামানো এবং আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে আসছে। এই ইস্যুতে মস্কো ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে আলোচনার আয়োজন এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার পক্ষেও ওকালতিসহ কূটনৈতিক প্রচেষ্টাতে জড়িত রয়েছে।

১৫ মাসের শত্রুতার পর ১৯ জানুয়ারি গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ইত্তেফাক/এসকে
 
unib