বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

বাউফলে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:০০

পটুয়াখালীর বাউফলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বাউফল পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ কমপক্ষে ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে অন্তত চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদারের আগামী শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাউফল পাবলিক মাঠে জনসভা করার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে গত দুই-তিন ধরে পোষ্টার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা সম্বলিত প্রচারপত্র বিতরণ কার্যক্রম করছিলেন বাউফল পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ্‌ আল ফাহাদের (৩১) নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ওই পোষ্টার ও প্রচারপত্র নিয়ে নাজিরপুর গ্রামের আবদুল মোতলেব খানের বাড়ির সামনের সড়কে পৌঁছালে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় নিজ দলীয় প্রতিপক্ষ। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এতে কমপক্ষে ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আবদুল্লাহ্‌ আল ফাহাদ (৩১), মো. রেদোয়ান (২২), মো. সাজিদ (২৬), মো. অন্তর (২১), মো. কাওছার (৩২), মো. আল আমিন (৩৭), মো. রাতুল (২৫),  মো. রাকিব (২৫), মো. ইলিয়াছকে (২৭) উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহত ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ আল ফাহাদ অভিযোগ করেছেন, নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খানের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, বাউফল পৌরসভা বিএনরি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. পলাশের পরোক্ষ নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছে। তাকে (ফাহাদ) মোবাইল ফোনে যুবদল নেতা পলাশ দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা এনায়েত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘তারা পরিকল্পিতভাবে তার এলাকায় ঢুকে তাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। তখন তার লোকজন আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে তার লোকজনও আহত হয়েছে।’ তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনের পক্ষে রাজনীতি করেন বলে দাবি করেন।

বাউফল পৌরসভা বিএনরি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. পলাশ বলেন, ‘তিনি ঢাকায় আছেন। তিনি ছাত্রদল নেতা ফাহাদকে ফোনে কল করে মারামারি না করার জন্য বলেছেন। কোনো হুমকি দেননি।’

বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বিএনপি দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/এএম
 
unib