বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো আওয়ামী লীগের জন্মস্থান বাইতুল আমান

আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৩

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্মস্থান খ্যাত বায়তুল আমান ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভবনটি নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দাদার বাড়ি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া এলাকায় অবস্থিত বাসভবনটিতে প্রথমে অগ্নিসংযোগ ও পরে ক্রেন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সন্ধ্যার পরপরই মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হয়। এরপর সেখান থেকে একটা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের চাষাড়া এলাকার বায়তুল আমানের সামনে আসেন।

সেখানে আগে থেকেই রাখা ছিল ক্রেন। এরপরই গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ক্রেন প্রথমে দিয়ে বাইতুল আমানের সীমানা ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় ভবন ভাঙার কাজ।

মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‌‘দেশের মানুষ যেমন আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষুব্ধ, তেমনি নারায়ণগঞ্জবাসীও শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানের প্রতি ক্ষুব্ধ। তারা নারায়ণগঞ্জবাসীকে এতটাই ক্ষুব্ধ করেছেন, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বাইতুল আমান গুঁড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে।’

ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া এলাকার এই বায়তুল আমান থেকে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলন—সংগ্রামে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল বায়তুল আমান। ভবনের মালিক খান সাহেব ওসমান আলী থেকে শুরু করে তার ছেলে একেএম শামসুজ্জোহা, তার তিন ছেলে মরহুম একেএম নাসিম ওসমান, একেএম সেলিম ওসমান ও একেএম শামীম ওসমান বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন এ ভবন থেকেই।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাইতুল আমান ভাঙচুর করা হয়েছিল। তবে এবার একেবারেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভবনটি।

ইত্তেফাক/এপি
 
unib